আগ্রাসী মনোভাবের জন্য আগেই খ্যাতি ছিল বিরাট কোহলির। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই আগ্রাসী ভাব কমে এসেছে। সেঞ্চুরির পর উদযাপন করার বেলায় কোহলি এখন বেশ পরিণত। অবশ্য মুম্বাইয়ে কোহলির উদযাপন চোখে পড়ার মতোই। ৩৫ বছরে পা রাখা বিরাট শুন্যে লাফিয়ে উদযাপন করছেন। ক্রিকেটে ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির মাহাত্ম্যটাই হয়ত এমন। 

শচীন টেন্ডুলকারের গড়া রেকর্ড ভাঙার জন্য হয়ত এরচেয়ে ভাল কোন মঞ্চ ছিল না বিরাট কোহলির সামনে। বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে, সেমিফাইনালের বড় ম্যাচে, কোহলি খেললেন জমকালো এক ইনিংস। সেটাও কিনা শচীনের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। এমনকি যেদিন শচীন নিজেও উপস্থিত ছিলেন গ্যালারিতে। ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫০ সেঞ্চুরির মালিক এখন কোহলি। ছাড়িয়ে গিয়েছে লিটল মাস্টারের ৪৯ সেঞ্চুরির কীর্তি। 

সেঞ্চুরির পর শচীনের দিকে তাকিয়ে কুর্নিশ করেছিলেন কোহলি। সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরি করা ইনিংস নিয়ে গিয়েছেন ১১৭ পর্যন্ত। আউট হয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন পুরো স্টেডিয়াম স্লোগান ধরেছে তার নামে। আর সেই স্রোতে হয়ত ছিলেন শচীন নিজেও। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পরেই তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন শচীন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পোস্টে শচীন লিখেছেন, ‘তোমাকে যখন আমি প্রথম ভারতের ড্রেসিংরুমে দেখেছিলাম, সেদিন অন্যান্য সতীর্থরা মজা করে তোমাকে আমার পা ছুঁতে বাধ্য করেছিল। আমি সেদিন হাসি থামাতে পারিনি। কিন্তু খুব দ্রুতই তুমি তোমার একাগ্রতা আর দক্ষতা দিয়ে আমার হৃদয় স্পর্শ করেছো। আমি খুবই খুশি যে সেদিনের তরুণ ছেলেটা আজ ‘বিরাট’ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে।’ 

এরপরেই শচীন লিখেছেন, ‘একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভেঙেছে, এরচেয়ে অন্য কিছুতে আমি খুশি হতে পারতাম না। এবং সেটাও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সবচেয়ে বড় মঞ্চে। আর আমার ঘরের মাঠে (এমন কিছু) তাতে পূর্ণতা দিয়েছে। 

এদিন ওয়ানডেতে শচীনের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও ভেঙেছেন কোহলি। শচীনের ২০০৩ সালে করা ৬৭৩ রানের রেকর্ড ভেঙে এই মুহূর্তে কোহলি অবস্থান করছেন ৭১১ রানে। 

জেএ