বৈশ্বিক আসরে ভারত সফলতা পাচ্ছে না লম্বা সময় ধরে। এবার ঘরের মাঠে চলমান বিশ্বকাপে তারা সেই খরা কাটাতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় আসরের রাউন্ড রবিন লিগে কেউই জয় পায়নি রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে। এর পেছনে দলের পরিবেশটা উষ্ণ এবং ক্রিকেটারদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার ঘটনা ভূমিকা রাখছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় এই অধিনায়ক। এবার জানা গেল রোহিত-কোহলিদের গোপন এক ‘ফ্যাশন শো’তে অংশ নেওয়ার কথা।

আগামীকাল (বুধবার) দুপুর আড়াইটায় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। সেই ম্যাচের আগে কঠোর অনুশীলনে মগ্ন শুভমান গিলরা। ম্যাচটি নিয়ে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন অধিনায়ক রোহিত। সেখানেই তিনি চাপ কাটাতে ম্যাচের বিরতিতে গোপন ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়ার কথা জানান।

কিউইদের বিপক্ষে এর আগে রাউন্ড রবিন পর্বে একবার মুখোমুখি হয়েছিলেন রোহিতরা। সেখানে তার দল বড় ব্যবধানে জয় পায়। ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটির আগে দু’দিনের বিরতি পেয়েছিল ভারত। ওই সময়ের কথা উল্লেখ করে রোহিত বলেন, ‘ধর্মশালায় যখন ছিলাম, দুই দিনের বিরতি মিলেছিল। তখন আমরা একটা ফ্যাশন শো করেছিলাম। এটা ভালো যে কেউ সেটার ব্যাপারে জানতে পারেনি। এটা দারুণ ব্যাপার যে কিছু জিনিস দলের মধ্যেই থাকছে। এসব জিনিস আসলে সম্পর্ক মজবুত করতে কাজে দেয়।’

সেখানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কে জিতেছিলেন— এমন প্রশ্নে রোহিতের জবাব, ‘না, এটা বলতে পারব না। কিছু জিনিস আমাদের মধ্যেই থাকতে দিন।’

এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে টানা দুই মাস ম্যাচ খেলে ব্যস্ত ভারতীয় দলটি। এমন অবস্থায় ওয়ার্কলোড, লম্বা জার্নি মিলিয়ে দলের পরিবেশ ভালো রাখতে সবরকম চেষ্টাই করে যাচ্ছে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। তারই অংশ হিসেবে নিজেদের চাঙা রাখতে ও সম্পর্ক দৃঢ় করতে ফ্যাশন শো আয়োজন করার কথা জানান ভারতীয় তারকা ওপেনার, ‘ভালো ও আরামদায়ক পরিবেশ রাখতে চাচ্ছি আমরা। সেটা করতে যা যা করার দরকার, সেটা আমরা করে যাচ্ছি। চাপ থাকবেই। যখন আপনি মাঠে নেমে যাবেন, এটা অনেকটা ব্যক্তিগত ব্যাপার হয়ে যায়। তবে তার আগে মাঠের বাইরে আমরা চেষ্টা করি ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে।’

হারলে দলের আশপাশের পরিবেশ থাকবে একরকম আর জিতলে অন্যরকম, এমনটা চান না রোহিত শর্মা, ‘এটা আমাদের একটা সচেতন চেষ্টা। যে ম্যাচের ফলের ওপর আমাদের দলের পরিবেশ নির্ভর করবে না। এটা একজন বা দুজন খেলোয়াড়ের কাজ নয়। এখানে সাপোর্ট স্টাফসহ সবাইকে প্রয়োজন হয়।’

এএইচএস