রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার-দুই ভারতীয় কিংবদন্তির নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘রাচীন’। চলতি বিশ্বকাপের সেরা উঠতি তারকার নাম নিয়ে এমন তত্ত্বই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু আদতে এমন কোনো ব্যাপারই নয়!

নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার রাচীন রবীন্দ্রর নামকরণ নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন তার বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি। তার দাবি, শচীন-দ্রাবিড়ের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের নামকরণ করেননি। বিষয়টি পুরোই কাকতালীয়। 

ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাচীনের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন। কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরু থেকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে চলে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রর বাবা রবি কৃঞ্চমূর্তি ও মা দীপা। সেখানেই জন্ম কিউই এই তারকার। সন্তানের নাম রাখার সময়ে দীপার মাথায় আসে ‘রাচীন’ নামটা। সেটাই রেখে দেওয়া হয়। ছেলে বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে, সেটাও ভাবেননি বেঙ্গালুরুর দম্পতি।

বিশ্বকাপে নিজের জাত চেনাচ্ছেন রাচীন রবীন্দ্র। 

রবি জানান, ‘ছেলের জন্মের সময় নাম নিয়ে খুব একটা আলোচনা করিনি। আমার স্ত্রী এই নামটা বলেন। বেশ সহজ নাম, উচ্চারণ করতেও সুবিধা। সেটাই রাখা হয়। কয়েক বছর পরে বুঝতে পারি, শচীন টেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়ের নামের কয়েকটা অক্ষর আমাদের ছেলের নামের সঙ্গে মিলে যায়। ছেলে বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে বলেই এমন নাম রেখেছি, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। এটা কাকতালীয়। রাচীন নিজের ইচ্ছামতো জীবনে উন্নতি করুক, আমরা সবসময়ে ওকে সমর্থন করব।’ 

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রাচীনের নামের শচীন-দ্রাবিড় তত্ত্ব ক্রিকেটপ্রেমীদের বেশ পছন্দ হয়েছে। তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনাও চলছে। তাই রাচীনের বাবার দেওয়া আসল তথ্য ক্রিকেটপ্রেমীদের কতটা প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। নামকরণ যেভাবেই হয়ে থাক, ক্রিকেট বিশ্বে রাচিন এখন পরিচিত নাম। বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সে।

লিগ পর্বে তিনটি শতরানসহ ৫৬৫ রান এসেছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ভালো পারফর্ম করতে মুখিয়ে রয়েছেন তরুণ তুর্কি।

এফআই