অনেক যদি-কিন্তু সমীকরণের আটকে থেকেও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া হলো না পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট তালিকায় নিউজিল্যান্ডের সমান হতে পারতো। কিন্তু সেটাও হয়নি তাদের। কলকাতার মাঠে ৯৩ রানের বড় হারের পর মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়েই বিশ্বকাপ পর্ব শেষ হলো বাবর আজমদের। 

আসর শুরুর আগে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নদের তালিকায় ছিল পাকিস্তানের নাম। কিন্তু প্রত্যাশার কিছুই পূরণ করা হয়নি তাদের। তবে এজন্য ভাগ্যকেও হয়ত কিছুটা দোষ নিতে পারেন দলের খেলোয়াড়রা। আম্পায়ার্স কলের সিদ্ধান্ত যদি নিজেদের বিপক্ষে না যেত, তবে হয়ত বিশ্বকাপের সেরা চারে জায়গা পেতেই পারতো গ্রান্ট ব্রাডবার্নের শিষ্যরা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে পাকিস্তানের দরকার আর মাত্র ১টি উইকেট। ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে ইনিংসের মাঝপথে হঠাৎ খেই হারায় প্রোটিয়ারা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ফিরে আসার দারুণ সুযোগও পেয়ে যায় পাকিস্তান। হারিস রউফ-শাহিন আফ্রিদির জাদুতে তখন ম্যাচ জয়ের স্বপ্নে বিভোর পাকিস্তান। ১১তম ব্যাটার তাবরাইজ শামসিকে ইন-সুইং দিয়ে বোকা বানালেন হারিফ। তবে এলবিডব্লিউর আবেদন ফিরিয়ে দেন আম্পায়ার। 

রিভিউতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্প স্পর্ষ করেছে ঠিকই, তবে সেটা ৫০ শতাংশের চেয়ে কম। স্বাভাবিকভাবেই আম্পায়ার্স কলে টিকে যান শামসি। পাকিস্তানও হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে তখন চলছিল ৪৫তম ওভার। 

৫ ওভার হাতে রেখে সেই ম্যাচ জিতলে নিশ্চিতভাবেই নেট রানরেটে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারতো পাকিস্তান। হয়ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও থাকতো না জটিল কোন সমীকরণের অঙ্ক। পাকিস্তানের শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার আয়োজন হয়ত সেদিনই ইংলিশ আম্পায়ার ওয়ার্ফ শুরু করে দিয়েছিলেন। 

২০১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কপাল পুড়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বৃষ্টি হয়ে। এবার শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টি আসেনি। আবার আম্পায়ার্স কলের সিদ্ধান্তটাও আসেনি বাবর আজমদের পক্ষে। আক্ষেপটা তাই এবারও সঙ্গী পাকিস্তানের। 

জেএ