প্রত্যাশার ডালি মেলে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছিল টাইগাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে কিছুটা বার্তাও হয়ত দিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু বিশ্বকাপের যতই দিন গড়িয়েছে, ততই বাংলাদেশের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে। টানা ব্যর্থতার সুবাদে বিশ্বকাপটা শেষ হয়েছে মাত্র দুই জয় নিয়ে। 

পুরো আসরেই খেলা হয়েছে মূলত ব্যাটিং উইকেটে। পিচ থেকে বাড়তি পেস এবং বাউন্স পেয়েছেন বোলাররা। আর তাতে বাকি সব দেশ সুবিধা করতে পারলেও বাংলাদেশ যেন কোন কাজেই লাগাতে পারেনি এমন পিচকে। বিশ্বকাপে শর্ট পিচড এবং উচ্চগতির কারণে সবচেয়ে বেশি উইকেটও হারিয়েছে টাইগাররা। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই কিনা এবার ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অন্যরকম আবদার ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তর। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিসিবির কাছে ভালো উইকেটের আবদার জানিয়ে রাখলেন শান্ত, 'অবশ্যই (আলাপ করা উচিত)। সবাই তো দেখলাম আমরা কী অবস্থায় আছি। আমরা যত খারাপ ব্যাট করেছি, অত খারাপ দল কিন্তু না। প্রস্তুতি ঠিক ছিল, ফল আসেনি। এটাই আশা করব, আমরা যখন হোয়াইট বল ফরম্যাট খেলার চেষ্টা করব ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি হোক, প্রত্যেকটা উইকেটই যেন ভালো হয় এবং স্পোর্টিং হয়।'

'সেক্ষেত্রে বোলাররাও বুঝতে পারবে যে ভালো উইকেটে কীভাবে আমি তিনশ রান ডিফেন্ড করতে পারব। আমি আশা করি, ক্রিকেট বোর্ড অবশ্যই এ নিয়ে চিন্তা করেছে। তেমন উইকেটই (সামনে) দেওয়া হবে আশা করছি।'-যোগ করেন শান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, 'দেখেন, এরকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আমরা তিনশ করেছি। যদি রান আউট দুটো না হতো বা মাঝখানে যদি আরেকটা বড় জুটি হতো, তবে ওখান থেকে সাড়ে তিনশই করতাম। তবে এটাও সত্য, আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব... ওই অভ্যাসটা দরকার। আমরা কিন্তু জানি কীভাবে ২৬০ করতে হয়। কীভাবে আমরা তিনশ করতে পারি, এই অভ্যাসটা তৈরি হলে দেখা যাবে আমরা নিয়মিত ৩৩০-৩৫০ করতে পারছি।'

এসএইচ/জেএ