অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হল অ্যালান ডোনাল্ডের বাংলাদেশ অধ্যায়। পেস বোলিং কোচ হিসেবে বেশ বড় একটা সময় কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি বোলার। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত ডোনাল্ডের অধীনে বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। তবে বিশ্বকাপটা সে অর্থে রাঙাতে পারেননি ডোনাল্ড শিষ্যরা।  

বিশ্বকাপে শনিবারের ম্যাচটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসারের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে শেষ ম্যাচ। অজিদের বিপক্ষে হারের পর মিক্স জোনে ডোনাল্ডকে নিয়ে তার শিষ্য তাসকিন আহমেদ মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। অনেক কথার ফাঁকে উঠে আসে ডোনাল্ড প্রসঙ্গটাও। বিদায়ী গুরুর জন্য শুভকামনাও জানালেন এই পেসার। 

শেষদিনে এসে ডোনাল্ডের প্রতি মুগ্ধতা ঝরলো তাসকিনের কণ্ঠে 'সে অসাধারণভাবে আমাদের পেস বোলিং গ্রুপকে টেইক কেয়ার করতো। ভালো হোক বা খারাপ হোক, সবসময় পাশে থাকতো। মোটিভেট করতো আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সাথে কাজ করে। 

ডোনাল্ডের এই প্রস্থানকে অবশ্য পেশাদারী দৃষ্টিতেই দেখছেন তাসকিন, ‘সে (ডোনাল্ড) চলে গেল, এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই দুই বছর, চার বছর পর চলে যাবে। তার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা থাকল। ভবিষ্যতে আরও একজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি।’

এর আগে ডোনাল্ড পেসারদের নিয়ে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার দারুণ একটা বন্ধুত্ব হয়েছে। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। আমি কখনই এখান থেকে নিজেকে ডিলিট করব না। কথা বলার জন্য, আলোচনার জন্য গ্রুপটা আমি সবসময় খোলা রাখব।’

‘তাদের কেউ যদি কথা বলতে চায়, গ্রুপে চ্যাট করতে চায় করতে পারবে। এটা যেকোনো সময়ই হোক না কেন কোনো সমস্যা নেই। তারা শুধু পেস বোলিং গ্রুপই না তারা সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ভালো লাগার। আমি এখানে কাজ না করলেও তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকবে। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি। আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’-যোগ করেন ডোনাল্ড।

এসএইচ/জেএ