এক দল নেমেছিল নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার লক্ষ্যে। অন্যদলের লক্ষ্য ছিল শিরোপা ধরে রাখার। ফুটবল বিশ্বের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার লক্ষ্য ভিন্ন থাকলেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ফলাফল ছিল একই। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। ব্রাজিল ইরানের কাছে হেরেছে ৩-২ গোলে। আর সেনেগালের কাছে আর্জেন্টিনার হার ২-১ ব্যবধানে। 

বয়সভিত্তিক এই আসর এখন পর্যন্ত চারবার জয় করেছে ব্রাজিল। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনের ইরানের কিশোরদের মুখোমুখি হয় জুনিয়র সেলেসাওরা। শুরুটাও ছিল ফেবারিটের মতোই। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই ছন্দময় ছিল তারা। রায়ান-কাইয়া ইলিয়াসরা মিলে চেপে ধরেছিলেন ইরানের রক্ষণভাগকে। ফলাফলও আসে হাতেনাতে। বিরতিতে যাবার আগেই দুই গোলের লিড পায় ব্রাজিল। প্রথম গোলটি আসে রায়ানের পা থেকে। আর দ্বিতীয়টি আত্মঘাতী হলেও তাতে অবদান ছিল সেই রায়ানেরই। 

তবে বিরতি থেকে এসে ছন্দময় সেই ব্রাজিলকে খুঁজেই পাওয়া গেল না মাঠে। বরং দাপুটে ফুটবল খেলে প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প লিখল ইরানের যুবারা। ম্যাচের ৫৪, ৬৯ আর ৭৩ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে একপ্রকার ছিটকে দেয় এশিয়ান দেশটি। ইয়াকুব বারাজি, কাসরা তাহেরি এবং ইসমাইল ঘোলিজাদেহ সেলেসাওদের পরাজয়ের লজ্জা উপহার দেন।

ব্রাজিলের তরুণরা অন্তত প্রথমার্ধে নিজেদের জাত চিনিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনা পারেনি সেটাও। সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনা যেন ছিল খোলসবন্দী। অগাস্টিন রবার্তো-ক্লদিও এচেভেরিরা বারবার গোলমুখে ব্যর্থ হয়েছেন। দুই উইঙ্গার সান্তিয়াগো লোপেজ আর ভ্যালেন্তিনো আকুনার আক্রমণ থেকে সুবিধাই করতে পারেনি তারা। 

বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাক ফুটবলে আলবিসেলেস্তেদের লজ্জা উপহার দিয়েছেন সেনেগাল অধিনায়ক আমারা দিউফ। তার বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলে পরাস্ত হয়েছে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। শেষদিকে অগাস্টিন রবার্তো অবশ্য এক গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

ব্রাজিলের পরের ম্যাচ সহজ প্রতিপক্ষ নিউ ক্যালিডোনিয়ার বিপক্ষে। আর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ এশিয়ান পরাশক্তি জাপান। 

জেএ