রূপকথার মতো বিশ্বকাপযাত্রা শেষ করল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। ভারত বিশ্বকাপে যেন সারপ্রাইজ প্যাকেজ নিয়ে হাজির হয়েছিল রশিদ-নবিরা। সাবেক ও বর্তমান তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা ভালোভাবেই টিকেছিল সেমির দৌড়ে।

ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেদনাদায়ক হারে শেষ চারের স্বপ্নভঙ্গ হয় আফগানিস্তানের। সর্বশেষ আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের হারে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। 

২০১৫ বিশ্বকাপে অভিষেক আসর খেলতে নেমে সর্বসাকুল্যে এক জয় (স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে) ছিল এতদিন বিশ্বমঞ্চে তাদের একমাত্র সাফল্য। উনিশে খালি হাতে ফেরা আফগানরা এবার আসর শেষ করল চার জয়ে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে। নিশ্চিত হয়েছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাও। দলের এমন সাফল্যে খুশি আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচশেষে জানিয়েছেন, আমরা বিশ্বকে বার্তা দিতে পেরেছি। 

তবে অস্ট্রেলিয়াকে নাগালে পেয়েও এমন নাটকীয় হারের ক্ষত ভুলতে পারছেন না শাহিদী। ৯১ রানে অজিদের ৭ উইকেট নেওয়ার পরও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে পরাজয় বরণ করে নিতে হয় তাদের।

শাহিদী বলেন, ‘আমরা বড় দলের বিপক্ষে খেলেছি এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের হাতে ছিল কিন্তু এটা খুব বেদনাদায়ক আমাদের জন্য জিততে না পারাটা।’

চার জয়ে বিশ্বকাপ শেষ করায় খুশি আফগান অধিনায়ক জানালেন নিজেদের সাফল্যের রহস্য। তিনি বলেন, ‘আমি দলের পারফরম্যান্সে খুশি। আমরা প্রতিটা ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। ভবিষ্যতের জন্য এটা ভালো দিক। আমাদের ব্যাটাররাও দারুণ খেলেছে। আমরা টুর্নামেন্টের আগে ছন্দে ছিলাম না। এরপরেই আমরা বসে নিজেদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’

আফগানরা নিজেদের শক্তিশালী স্পিন আক্রমণের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান ছাড়াও তাদের দলে আছে আইপিএলসহ বিভিন্ন বিদেশি লিগে খেলা মুজিব উর রহমান ও তরুণ নূর আহেমদরা। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আফগানরা চমক দেখিয়েছে নিজেদের ব্যাটিংয়ে। 

এ প্রসঙ্গে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘সবাই জানতো আমরা স্পিনে ভালো। এবার আমরা ব্যাটিংয়েও যে ভালো করি তা দেখিয়েছি।’

এফআই/টিএম