বিশ্বকাপে ডি ককের আরেকটি রেকর্ড
ভারত বিশ্বকাপকে নিজের শেষ আসর বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ব্যাট হাতে নিজের শেষ আসরটিকে তিনি রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে স্মরণীয় করে রাখছেন। চারটিতে সেঞ্চুরিতে তিনি এখনও শীর্ষে অবস্থান করছেন রানসংগ্রাহকের তালিকায়। এবার উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও ডি কক একটি রেকর্ড গড়েছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ম্যাচে তিনি ছয় ক্যাচ নিয়েছেন, যা বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) রাউন্ড রবিন পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে আগে ব্যাট করে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর তাদের এতদূর টেনে নিয়ে গেছেন বোলিং অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ব্যাটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৯৭ রান পায় আফগানরা।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, সতীর্থদের আগুনঝরা বোলিংয়ে উইকেট পতনে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন ডি কক। তার শুরুটা হয় ইব্রাহিম জাদরানকে দিয়ে। জেরাল্ড কোয়েটজের লেগ স্টাম্পে করা শর্ট লেংথ ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে গ্লাভসে লেগে কট বিহাইন্ড হন আফগান ওপেনার। একই বোলারের অফ স্টাম্পে করা একই লেংথের বলে প্রায় একইভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুর আহমেদও। মাঝে কুইন্টন ডি কক ধরলেন আরও ৪টি ক্যাচ, গড়লেন বিশ্বকাপের দারুণ এক রেকর্ড।
আরও পড়ুন
এদিন ইব্রাহিমকে দিয়ে শুরুর পর শাহিদি, ইকরাম আলিখিল, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও নুরের ক্যাচ নেন ডি কক। বিশ্বকাপের এক ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড। এর আগে এক ম্যাচে ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন আরও দুই কিপার। ২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদ ৬ ক্যাচ নিয়েছিলেন। ডি কক অবশ্য এবারই প্রথম নন, এর আগে ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এক ম্যাচে ৬টি ক্যাচ নেন তিনি।
এক ম্যাচে ৬টি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড কেবল বিশ্বকাপেই নয়, ওয়ানডেতেও সবচেয়ে বেশ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড। তবে একই কীর্তি এর আগে ৬বার গড়েছেন অজি কিপার গিলক্রিস্ট। ডি ককের রেকর্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার সকল গাণিতিক সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের সেরা চারে থাকার জন্য ৪৩৫ রানের বেশি ব্যবধানে জিততে হতো আফগানদের। কিন্তু তারা আগে ব্যাটে নেমে টেনেটুনে আড়াইশ’র কাছাকাছি যেতে পেরেছে।
এএইচএস