সবার আগেই বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে কড়া নিরাপত্তায় ক্রিকেটাররা বাড়িতেও ফিরে গেছেন। আগে থেকেই দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলছে। তার মাঝে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটারদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল। তেমনটাই দেখা গেল বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

আজ (শুক্রবার) ভোরে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের এক ফ্লাইটে দাসুন শানাকা ও কুশল মেন্ডিসরা ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেখান থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা।

তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা হলেও, তারা চড়ে বসেছেন যার যার ব্যক্তিগত গাড়িতে। ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ মিশনটা ভালো না গেলেও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সবাই এদিন বিমানবন্দরে এসেছিলেন।

চলমান বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে ১৯৯৬-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রথম তিন ম্যাচে টানা হারের পর ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরপর দুই জয় পায় শ্রীলঙ্কা। এরপর বাকি চারটিতে তারা আর জয়ের মুখ দেখেনি। ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শানাকার দলের অবস্থান ৯ নম্বরে। ফলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলা বেশ কঠিন। এজন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের দিকে।

এবারের আসরে দলের ভরাডুবি পারফরম্যান্সের জন্য গোপন ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসএলসির প্রধান নির্বাচক প্রমোধ্য বিক্ররমাসিংহে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি। এমন ধস হওয়া পারফরম্যান্সের পেছনে কী ঘটেছিল সেটি আগামী দুইদিনের মধ্যে উৎঘাটন করব। নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রও এর পেছনে কাজ করেছে। আগে জানতে হবে আমাদের অনুপস্থিতিতে দেশে কী ঘটেছিল। বিস্তারিত জেনে মিডিয়ায় তুলে ধরা হবে।

এখন পর্যন্ত ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সর্বশেষ গতকাল লঙ্কানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেমিতে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। সেমিতে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও এখনও টুর্নামেন্টে টিকে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তবে তাদের সামনে সমীকরণটা ‘অসম্ভবকে সম্ভব’ করার মতো। একইসঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করলেও এখনও একটি করে ম্যাচ বাকি আছে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের।

এএইচএস