ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ মাথায় নিয়ে বেঙ্গালুরুতে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড। সেমিতে পা দিতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না কিউইদের। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করতে জয় প্রয়োজন ছিল লঙ্কানদের। নিউজিল্যান্ড তাদের কাজটা ভালোভাবেই করেছে। বড় জয়ে নেট রানরেটটাও বাড়িয়ে নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে ৩ উইকেট শিকার করে সবচেয়ে বড় অবদান ট্রেন্ট বোল্টের। তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।

ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন বোল্ট। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইকেটের ফিফটি করেন তিনি। এরপর চার বলের ব্যবধানে ফিরিয়েছেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও। তাতে আরো একটা রেকর্ড গড়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। তৃতীয় কিউই বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণ করেন ৬০০ উইকেট।

বেঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৭১ রানে গুটিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যেখানে বল হাতে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪ বছর বয়সী পেসারের উইকেট এখন ৬০১টি। যার মধ্যে টেস্টে ৩১৭, ওয়ানডেতে ২১০ ও টি-টোয়েন্টিতে শিকার ৭৪টি।

বোল্টের ওপরে থাকা দুজনের মধ্যে সাবেক স্পিনার ড্যানিয়েল ভেটোরির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ৭০৫টি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি উইকেট নেওয়া টিম সাউদির ৭৩২টি।

মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ১০ ওভারে স্রেফ ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে একটি অর্জন ধরা দিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের হাতেও। চলতি আসরে বাঁহাতি এই স্পিনারের উইকেট হলো ১৬টি, বিশ্বকাপের এক আসরে নিউ জিল্যান্ডের স্পিনার হিসেবে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০০৭ আসরে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন ভেটোরিও।

এইচজেএস