বিশ্বকাপের মাঝেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ইনজামাম উল হক। গত ৩০ অক্টোবর নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে সাবেক এই ক্রিকেটার অভিযোগ করে বলেছিলেন, পিসিবি তার মেইলের জবাব দেয়নি। এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক বিজ্ঞপ্তিতে ইনজামামের পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানিয়েছে পিসিবি। সেই সঙ্গে শিগগিরই নতুন নির্বাচক প্রধানের নাম ঘোষণা করার কথাও জানিয়েছে।

গত বছরের আগস্টে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইনজামামকে। তারপর বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে স্বার্থের স‌ংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেটির মালিক ক্রিকেটারদের এক এজেন্ট। ফলে ক্রিকেটারদের নির্বাচনে সেই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। 

সেই সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। তদন্ত শেষে বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গঠিত কমিটি। রিপোর্টে কী বলা হয়েছে তা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। তবে ইনজামামের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার মানে দাঁড়াচ্ছে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। 

পাকিস্তানি গণমাধ্যমে দাবি, ‘ইয়াজো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির অংশীদার ইনজামাম। সেই কোম্পানির মালিক তালহা রেহমানি। এই রেহমানি আবার বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের এজেন্ট। প্রশ্ন উঠেছিল, ইনজামামের সূত্রে পাকিস্তানের দল নির্বাচনে হাত থাকতে পারে রেহমানির। বিশেষত,পাক বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি ঘিরে বিতর্ক যেখানে তুঙ্গে, সেখানে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে রেহমানির কোনো হাত রয়েছে কি না, তা জানতে পাঁচ সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বোর্ড।

এই বিতর্কের মাঝেই আচমকা পদত্যাগ করেন ইনজামাম। তারপরেই অবশ্য ফেরার ইচ্ছার কথাও জানান তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ইনজামাম বলেন, ‘সংবাদমাধ্যেমে আমার নামে যে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে, তার যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে, সেই কারণে আমি সরে যাচ্ছি। তদন্ত কমিটি যদি আমাকে নির্দোষ মনে করে, তাহলে আবার পাকিস্তান ক্রিকেটের মুখ্য নির্বাচকের পদে ফিরব।’ কিন্তু তদন্তের পরে ফেরা হলো না ইনজামামের।

এফআই