ম্যাক্সওয়েলের সেই ইনিংসের ‘কারিগর’ ফিজিও নিক
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি অনেকেই করেছেন। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসটা হয়ত তর্কসাপেক্ষে ওয়ানডে ইতিহাসেরই সেরা ইনিংস হয়ে থাকবে। বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে অসুস্থ হয়ে কোনপ্রকার ফুটওয়ার্ক ছাড়াই খেলেছেন অনেকটা সময়। ২১ চার আর ১০ ছয়ের এই ডাবল সেঞ্চুরি করতে গিয়ে বারবারই থামতে হয়েছে তাকে। আর সেসময়ে ম্যাক্সওয়েলের জন্য ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন যিনি, তিনি অস্ট্রেলিয়ান দলের ফিজিও নিক জোন্স।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ১২৮ বলে এই অজি ক্রিকেটার করেছেন ২০১ রান। যেখানে মোট ১৪৪ রান এসেছে শুধুমাত্র বাউন্ডারি থেকেই। প্রথম সেঞ্চুরি করা পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েল মোট ৫৮ রান নিয়েছিলেন বাউন্ডারি থেকে। এরপরের ১০০ রান করতে গিয়ে ৮৬ রান নিয়েছেন বাউন্ডারির সাহায্যে। সেসময় রান নেওয়ার মত অবস্থাতেই ছিলেন না বিগ শো খ্যাত ম্যাক্সওয়েল। এমনকি মাঠ থেকেই নাকি উঠে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তবে ফিজিও নিক জোনসই তাগাদা দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েলকে মাঠে থাকতে। বারবার দৌড়ে এসে সাহায্য করেছেন। একইসঙ্গে দিয়েছেন সাহস। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইন্টারভিউতে ম্যাক্সওয়েল নিজেই জানিয়েছেন সেই কথা, ‘হ্যাঁ, আমি উঠে যাওয়ার কথা ভেবেছিলাম ওই সময়। ড্রেসিংরুমে ফিরে শুশ্রূষার দরকার হয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন
‘নিক জোন্স তখন বলেছে, আমি যদি মাঠ থেকে উঠে যাই, তাহলে আবার মাঠে ফেরা খুব মুশকিল হয়ে যাবে। আমার পক্ষে ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি বেয়ে আর নিচে নামা সম্ভব হবে না। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই, কষ্ট করে হলেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার। মানে যতক্ষণ পারা যায়! কোনোমতে যতক্ষণ হাঁটতে পারছি, ব্যাটিং শেষে অন্য প্রান্তে যেতে পারছি, ততক্ষণ খেলে যেতে চেয়েছিলাম।’ যোগ করেন ম্যাক্সওয়েল।
এমন মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঠিক কিভাবে খেলেছেন এই ইনিংস। ম্যাক্সওয়েল তখন জানালেন তার সেসময়ের পরিস্থিতির কথা, ‘ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুতই। আমি আমার একটা বুড়ো আঙুল নাড়াতে পারছিলাম না। সেই বুড়ো আঙুলের মাংসপেশির ব্যথা আমার হাঁটু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্য প্রান্তে যাওয়ার সময় আমার ঊরুর মাংসপেশিতেও ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি মাটিতে শুয়ে পড়েছিলাম। আমার তখন দুই পা আর পিঠের মাংসপেশিতে টানা লেগেছে।’
জেএ