ব্রায়ান লারা ৪০০ রান করলেন। ক্রিকেট ইতিহাস দেখলো নতুন মাইলফলক। সেদিন লারার মহাকাব্যিক ইনিংসটাই সবার মনে গেঁথে আছে, আড়ালে চাপা পড়ে যায় রামনরেশ সারওয়ানের ২৪৯ মিনিট আর রিডলি জ্যাকবসের ৩০৯ মিনিটের সংগ্রাম। টেস্ট আর ওয়ানডে দুই ফরম্যাটের তুলনা হয়ত অমূলক। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন আড়ালে চলে যাওয়া কারও কীর্তি, তখন জ্যাকবস-সারওয়ানের নাম আসা অমূলক নয়। 

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মঞ্চে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যখন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন, তখন অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সেই মহাকাব্যের সাক্ষী হয়েছেন প্যাট কামিন্স। ম্যাক্সওয়েল যখন ইনজুরিতে, তখন বারবার এগিয়ে এসে সাহস দিয়েছেন এই অজি অধিনায়ক।

২৯২ রানের রানতাড়ায় ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারায় অস্টেলিয়া। এরপর ৮ম উইকেটে ২০২ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কামিন্স এবং ম্যাক্সওয়েল। ২০২ রানের এই জুটিতে ১৭৯ রানই করেছেন ম্যাক্সওয়েল। আর ১২ রান করেছেন কামিন্স। ১২ রান করতে কামিন্স খেলেছেন ৬৮ বল। ক্রিজে ব্যয় করেছেন ১২২ মিনিট। এর মাঝে তিনি সবচেয়ে কাজের কাজ করেছেন আফগান বোলারদের সামাল দিয়ে।

যে রশিদ খান, নাভিন উল হককে সামাল দিতে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার হিমশিম খেয়েছে, তাদের বিপক্ষেই যেন মাটি কামড়ে ছিলেন কামিন্স। বিশেষ করে রশিদ এবং মুজিবের স্পিনে বারবার পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে। তারপরেও সাবধানী ইনিংসে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। ম্যাক্সওয়েল ক্যাচ উঠিয়েছিলেন একবার, কামিন্স সেই ভুলটাও করেননি। 

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কিছুটা মজা করেই কামিন্স বলেছিলেন, শতরানের জুটিতে সমান অবদান রেখেছেন বলেই মনে করেন তিনি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিকার অর্থে কামিন্স কোন অংশেই কম ছিলেন না। সেটাই অধিনায়ক হোক কিংবা আড়ালের নায়ক। দুই জায়গাতেই সফল ছিলেন এই অজি পেসার।

জেএ/এএইচএস