সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তানের মেয়েরা। নাহিদার করা ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ রান তোলে তারা। ৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন বাংলাদেশের সুবহানা মুস্তারি। কিন্তু পঞ্চম বলে তিনি আউট হওয়ার পর শেষ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২ রান। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক জ্যোতি।

দারুণ এই জয়ের পর টাইগ্রেসদের উদযাপনটাও ছিল মনে রাখার মতো। বিশেষ করে জ্যোতির জন্য এই দিনটা আরো স্বরণীয় হয়ে থাকবে। উইনিং স্কোর এসেছে তার ব্যাট থেকে, আর এসময় গ্যালারিতে বসে সেটা উপভোগ করেছেন তার বাবা-মা।

ম্যাচ শেষে জ্যোতি যখন ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তখন গ্যালারিতে তার বাবা-মা অপেক্ষায় ছিলেন। জ্যোতি ফেরার সময় এগিয়ে আসেন তার মা। তিনি ড্রেসিংরুমে না গিয়ে লাফিয়ে উঠে পড়েন গ্যালারিতে। সেখানে তার মাকে জড়িয়ে ধরেন জ্যোতি। মেয়েকে বুকে পেয়ে এবং তার সাফল্যের আনন্দেই হয়তো কেঁদে ফেলেন তার মা। এরপর বাবাকে ডাকেন জ্যোতি। বাবা এগিয়ে আসতেই তাকেও জড়িয়ে ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানেই থামে পাকিস্তান।

ফারজানা হক-মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পেতে পারতেন মুর্শিদা। তবে ৪০ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন এই ওপেনার। তিনে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সুবহানা। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরেছেন ১৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত জ্যোতির ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলদেশ।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় পাকিস্তান। আদাফ শামসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান। আরেক ওপেনার সিধরা আমিন করেছেন ২২ রান। নিধা-ইরামরাও চেষ্টা করেছেন তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে সবসময়ই ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ।

এইচজেএস