বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টা মহাগুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের। টাইমড আউট বিতর্কের ম্যাচে লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে টাইগাররা। পরবর্তী ম্যাচ পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন এই ম্যাচও তাদের জিততে হবে।

টানা ছয় হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। এমন জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব, এই বিশ্বাসটা আরও অটুট হলো কি না? সাকিবের উত্তর, ‘আমি যেটা বললাম আত্মবিশ্বাস তো দেবেই। ম্যাচ জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই আসলে। সো আমাদের জিততেই হবে এবং সেটার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকব। অনেক সময় হয় যে হারতে থাকলে মনের ভেতর থেকে জিদটা আসে না, আত্মবিশ্বাসটা আসে না। এই ম্যাচটা হয়তো আমাদের আত্মবিশ্বাস ও জিদ দুটোই দেবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল ভিন্ন মনোভাব নিয়েই খেলবে পরের ম্যাচে। ভালো খেলার এবং ম্যাচ জেতার (চেষ্টা করবে)।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না সাকিব বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আজকের ম্যাচটা আমাদের একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেবে। ড্রেসিংরুমটা একটু হলেও শান্ত হবে। আরেকটু ভালো খেলতে সাহায্য করবে। তবে অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই অনেক ভালো দল। শিরোপাপ্রত্যাশী। আমাদের আজকের ম্যাচটা ভালো ছিল। তবে এটা ধরে রাখতে পারলে আমরা ভালো একটা ম্যাচ খেলতেও পারি। আমাদের বিশ্বাস আছে, এই জয়টা সাহায্য করবে সে জন্য। আরেকটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যদি জিতি তাহলে মোটামুটি হয়তো শিউর থাকব আমরা কোয়ালিফাই করব। তাই আমাদের জন্য বাঁচা-মরা পরিস্থিতি। আমরা চেষ্টা করব সবকিছু দিয়ে ম্যাচটা জেতার।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চোখ রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু জয়ই নয়, রানরেট বাড়ানোর তাড়নাও ছিল সাকিবের, ‘১৭-১৮ ওভারের দিকে আমরা বলেছিলাম আমরা যদি ৩০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি আমরা তখন ম্যাচকে শেষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারব। আর আমাদের একজন যদি উইকেটে থাকতে পারে তবে আমরা ম্যাচ দ্রুতই শেষ করতে পারব। কিন্তু আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়েছি। আমি ও শান্ত আউট হয়ে গেছি। আমরা তবু চেষ্টা করছিলাম ৪১.২ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার, যা আমাদের কয়েকটি দলের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। এর জন্য আমাদের কয়েকটি উইকেট হারাতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি আমরা খুশি।’

এসএইচ/এফআই