জমে উঠেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। সেই দৌড়ে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। পাকিস্তান টানা চার ম্যাচ হেরেও শেষদিকে দুই জয়ে নিজেদের রেসে ধরে রেখেছে। কিন্তু তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এবার পেসার হারিস রউফের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বাবর আজমের দল। পাঁজরের ইনজুরি নিয়ে এরই মধ্যে তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে গিয়েছেন।

আগামী ১১ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে অনিবার্য জয়ের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে উঠতে হলে ‘যদি-কিন্তু’র হিসাব মেলাতে হচ্ছে দলটিকে। তবে সবার আগে ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে হবে। তাদের ন্যূনতম জয় হলেও চলতো, কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে থাকতে হলে জয়ের ব্যবধানটা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশি রাখতে হবে পাকিস্তানকে।

শেষ ম্যাচে কিউইদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১ রানে জিতলে ইংলিশদের বিপক্ষে বাবরদের জিততে হবে ১৩০ রানে। আবার নিউজিল্যান্ড পরে ব্যাট করে জয় পাওয়ার পর পাকিস্তানও জিতলে জটিল অবস্থা তৈরি হবে। এমন অবস্থায় কিউইদের হারই কাম্য বাবরদের। একইসঙ্গে আফগানিস্তানের দিকেও নজর থাকবে তাদের। আফগানরা পরের দুই ম্যাচ জিতলে বিপাকে পড়তে হবে তাদের। যদিও তাদের শেষ দুটি ম্যাচ শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে।

এ তো গেল মাঠের সমীকরণ। তার আগে পাকিস্তান সম্ভাব্য সেরা তারকাদের নিয়েই একাদশ শক্তিশালী রাখতে চাইবে। সেক্ষেত্রে রউফের ফিট থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল (সোমবার) পাঁজরের এমআরআই করতে গিয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার। যদিও রউফের সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি, তবে দলের সবাই মনে করছেন তার চোট গুরুতর নয়।

একইদিন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন আগের ম্যাচ জেতানো ওপেনার ফখর জামান, দুই পেসার জামান খান ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। অন্যদিকে, স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি জনপ্রিয় শপিং মলে যান হাসান আলি। পরবর্তী ম্যাচের আগে তারা কিছুদিন সময় পাচ্ছেন। এর আগে স্পিন অলরাউন্ডার শাদাব খান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন। এরপর তার কনকাশন সাব করা হয় উসামা মিরকে। আসন্ন ম্যাচেও শাদাবকে পাওয়া যাবে কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

টানা দুই জয় দিয়ে চলতি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল পাকিস্তান। এরপর বাবরা টানা চার ম্যাচে হারেন। পরে আবার টানা দুই জয় তাদের সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। সর্বশেষ ম্যাচে কিউইদের দেওয়া ৪০১ লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন দলটির ওপেনার ফখর জামান। একদিকে তার দ্রুতগতির সেঞ্চুরি, অপরদিকে দুই দফার বৃষ্টি ডিএল মেথডে পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে। ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রান তুলে তাদের জয় নিশ্চিত হয়। যা রানপাহাড় গড়েও সেমিতে খেলার আগে সমীকরণের মারপ্যাঁচে ফেলে দেয় কিউইদের।

এএইচএস