বর্তমানে ক্রীড়াঙ্গনে জুয়া বা বেটিং প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশিপ খুব সাধারণ ঘটনা। আইসিসি থেকে এ নিয়ে আগে আপত্তি থাকলেও বর্তমানে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের জুয়া প্রতিষ্ঠানের প্রচারে কোনো বাধা নেই। তবুও নৈতিকতার বিচারে কেউ কেউ সেই পথে পা বাড়ান না। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের মতে, সেরকমই দুই ক্রিকেটার অধিনায়ক বাবর আজম ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বড় অঙ্কের প্রস্তাবেও তারা এমন স্পন্সরশিপ ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাদের।

সংবাদমাধ্যম জিওসুপার বলছে, বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা দফা নিউজের সঙ্গে পিসিবির আগে থেকেই চুক্তি আছে। দফা নিউজের অধীনে ১৫০টিরও বেশি অবৈধ বেটিং প্রতিষ্ঠান ও অ্যাপস পরিচালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলও ব্যবহার করে আসছে এসব প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ইমেজ রাইটস। তার মাঝেই অবৈধ একটি প্রতিষ্ঠান বাবর-রিজওয়ানের কাছে আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। তারা সেটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক সূত্রের বরাতে জানা গেছে– বাবরকে বার্ষিক ২৫০ মিলিয়ন রুপি এবং রিজওয়ানকে দেওয়া ১০০ মিলিয়ন রুপির প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি আইন অনুযায়ী অবৈধ বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে সর্বশেষ পিএসএলে মুলতান সুলতানের অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও দলটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বেটিং সাইট ‘ওলফ৭৭৭’-এর লোগো ব্যবহার করতে আপত্তি জানান রিজওয়ান।

বাবরকে পাঠানো ওয়ানএক্সবেট প্রতিষ্ঠানের ইমেইলে বলা হয়, এই ক্রিকেট তারকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনুসারী দেখে তারা সন্তুষ্ট। তাই তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। পরে বাবরের হয়ে তার জবাব দেয় ‘সায়া করপোরেশন’।

পাকিস্তান অধিনায়কেকর ব্যক্তিগত স্পন্সর, বিনিয়োগ ও বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘ধন্যবাদ, মুসলিম হিসেবে আমরা কোনো বেটিং কিংবা সারোগেট বেটিং ব্র্যান্ডসকে সমর্থন করতে পারি না। আবারও আপনাদের এই আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।’

একইভাবে প্রস্তাব যায় রিজওয়ানের কাছেও। এরপর প্রশ্ন ওঠে— কীভাবে বেটিং সাইটগুলো পৌঁছাল বাবর-রিজওয়ান পর্যন্ত? সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পিসিবি দুই তারকা ক্রিকেটারের সম্মতি ছাড়াই তাদের ইমেজ রাইটস বেটিং কোম্পানিকে দিয়েছিল। যদিও এ নিয়ে এখখনও পিসিবির কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। ওয়ানএক্সবেট’র সঙ্গে এখনও চুক্তি রয়েছে পিসিবি, পিএসএল এবং লিগের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির।

এএইচএস