২০২৩ আসর যেন বাংলাদেশের সব হারানোর বিশ্বকাপ। দলের পারফর্ম্যান্স যেমন নিচের দিকে নেমে গিয়েছে। তেমন দলের মনোবলটাও গত তিন সপ্তাহে পুরোপুরি উধাও হয়ে গিয়েছে। টানা পরাজয়ের ফলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়েছে আগেই। এখন চলছে মান বাঁচানোর লড়াই। বিশ্বকাপটা অন্তত সবার নিচে থেকে শেষ করে চায় না টাইগাররা।      

তবে সব হারানোর এই বিশ্বকাপে প্রাপ্তি হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ। সেরা আটে থাকলেই কেবল ২০২৫ সালের আইসিসি ইভেন্টে খেলতে পারবে টাইগাররা। আর সেখানে খেলার ক্ষীণ আশা এখনো বেঁচে আছে টাইগারদের। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের বাকি দুটি ম্যাচের একটিতে তো জিততে হবেই, সঙ্গে অন্যটিতেও খুব বড় ব্যবধানে হারা যাবে না সাকিব আল হাসানদের। আর যদি দুই ম্যাচেই জয় আসে তবে সেটা নিঃসন্দেহে সুখবর বয়ে আনবে বাংলাদেশের জন্য। 

বিশ্বকাপে লঙ্কানদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় অবশ্য তাদের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ। এছাড়াও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডেও চলছে পালাবদলের হাওয়া। এ সুযোগ টাইগারদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে জয় না এলেও সহজে আত্মসমর্পণ না করার দিকেই নজর রাখতে হবে সাকিবদের। 

এটা শুধুই বাংলাদেশের পক্ষের সমীকরণ। এর সঙ্গে মিলতে হবে অন্যান্য ফলাফলও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের সামনে আরও জটিলতা থাকছে। এক্ষেত্রে অন্য শর্ত হলো, অবশ্যই শ্রীলংকা তাদের বাকি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অবশ্যই হারতে হবে।

লঙ্কানদের শেষ দুই ম্যাচে পরাজয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটিতে অবশ্যই বড় জয়ে রান রেট বাড়িয়ে নিতে হবে। বিশ্বকাপে ৭ টি ম্যাচ খেলে ২ জয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট (রানরেট -১.১৬২)। আর তাদের বিপক্ষে জিতলে টাইগাদের পয়েন্টও হবে ৪। বর্তমানে রানরেটে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জয়ের কারণে লঙ্কানদের টপকে যাওয়ার সুযোগ পাবে তারা। 

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিতে আরও একটি সমীকরণের মুখোমুখি হবে। নেদারল্যান্ডসকে তাদের বাকি দুটি ম্যাচে হারতে হবে। তাদের বাকি দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে। সেখান থেকে তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের সবার নীচে অবস্থান করা ইংল্যান্ডেরও রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ। সেক্ষেত্রে তাদেরও দুই ম্যাচেই জয় পেতে হবে।

জেএ