বিশ্বকাপের আগেও ছন্দে ছিলেন। কিন্তু ভারতে পা দিয়েই যেন বদলে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর ছয় ম্যাচে আর একবারও দুই অঙ্কে যেতে পারেননি এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। তার বারবার ব্যর্থ হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে চলতি বছরে বাংলাদেশ তো বটেই, পরিসংখ্যানের বিচারে বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের কাতারে ছিলেন শান্ত। ১৪ ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে পাঁচ ফিফটি সবমিলিয়ে ৪৯.৮৫ গড়ে তিনি করেন ৬৯৮ রান। এই ছন্দ তিনি ধরে রাখেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।

এরপর থেকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ছয় ম্যাচের অন্তত পাঁচটিতে তিনি আলগা শট খেলে আউট হয়েছেন। কখনও অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকে খেলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে, কখনও লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড। 

দুর্দান্ত ছন্দে থেকে শান্তর হঠাৎ এমন মুখ থুবড়ে পড়ার পেছনে ক্রিকেটীয় কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের প্রধান কোচ। দিল্লিতে রোববার অনুশীলন শুরুর আগে শান্তর ব্যর্থতার বিষয়ে বরং দার্শনিকতার আশ্রয় নিয়েছেন হাথুরুসিংহে।

শান্ত প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, 'হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে সার্বক্ষণিক কথা হচ্ছে। আমরা (সমস্যার) কিছুই পাইনি। টেকনিক্যাল কিছু নেই এখানে। শুধুই দুর্ভাগ্য। যে কোনো ব্যাটসম্যান প্রথম ৫-১০ বলের মধ্যে আউট হতে পারে। বিশেষ করে টপ-অর্ডার ব্যাটাররা কারণ তখন বলের মুভমেন্ট থাকে এবং আপনি সবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন। আমার মনে হয় না, (শান্তর) টেকনিক নিয়ে কিছু করার আছে। দুর্ভাগ্যবশত এটিই ক্রিকেট, এটিই খেলার সৌন্দর্য।'

এইচজেএস