বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি ফখর জামান। সে কারণে পরবর্তী চার ম্যাচে তাকে পাকিস্তানের একাদশে দেখা যায়নি। এছাড়া মাঝে ইনজুরিতেও পড়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ওপেনার। এরপর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচেই তিনি ‘উইনিং নক’ খেলেছেন। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফখর হয়ে উঠেছিলেন পুরোদমে বিধ্বংসী। যা সুবাদে কিউইদের হারিয়েছে পাকিস্তান। তার এমন ব্যাটিং দেখে প্রশ্ন উঠতে পারে— কেন তিনি এতদিন একাদশে ছিলেন না!

এমনই এক জিজ্ঞাসা ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগের। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টদের বিপক্ষে গতকাল দারুণ সব ছক্কার মারে ফখর বুঝিয়েছেন তার কবজির জোর কতটা! যা দেখে মুগ্ধ শেবাগ। আর তারপরই তিনি পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর তোপ দেগেছেন।

সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ

ফখরের মতো ব্যাটারকে বসিয়া রাখা পছন্দ হয়নি শেবাগের। বিশেষকরে আগের দিনের ইনিংস দেখার পর সামাজিকমাধ্যমে এই সাবেক তারকা ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত এক ইনিংস ফখর জামানের। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান। কোন মস্তিষ্ক তাকে টুর্নামেন্টের সেরা অংশে বেঞ্চে রেখেছিল, ঈশ্বর জানেন। প্রোটিনের অভাব নেই, আবেগেরও।’

চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাকিস্তানের মূল একাদশে ছিলেন ফখর জামান। সে ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। মাত্র ১২ রান করেন। দ্বিতীয় কোনো সুযোগ না দিয়ে বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে জ্বলে ওঠেন আবদুল্লাহ শফিক। যে কারণে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায় ফখরের। তবে আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক ছন্দ হারিয়ে ফেললে ফের জায়গা মিলে প্রথম একাদশে। আর এবার ফিরেই চমক।

বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে ফখর একাদশে ফিরেন। ওই ম্যাচে ২০৫ রান করা টাইগারদের একাই ৮১ রান করে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ফখর। সেই ম্যাচ তিনি ৭টি ছয় হাঁকিয়েছিলেন। আর গতকাল ১২৬ রানের ইনিংসে কিউই বোলারদের বিপক্ষে তিনি হাঁকান ১১টি ছয়। এমন আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মনে পড়ে যায় কিছুদিন আগে ইমাম-উল-হকের একটি কথা। 

পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটারদের ছক্কা না মারতে পারার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইমামকে। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘হয়তো আমাদের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে বেশি পরিমাণ প্রোটিন খেতে হবে। তবে এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। এমন নয় যে আমরা চার-ছক্কা হাঁকাতে চাই না। তবে যা করছি দলের কথা মাথায় রেখেই করছি আমরা।’ মূলত ইমামের সেই মন্তব্যের কারণে প্রোটিনের কথা উল্লেখ করেছেন শেবাগ।

এএইচএস