কয়েকদিন আগেও পাকিস্তানের পেসারত্রয়ী শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ’কে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস মনে করা হতো। নাসিম ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের আগেই ছিটকে গেছেন। সে হিসেবে শাহিন-রউফের কাঁধেই বোলিং বিভাগের দায়িত্ব। শাহিন তুলনামূলক ভালো করলেও, খরচের দিক থেকে একেক ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রউফ। আজ সেই বিব্রতকর রেকর্ডে শাহিন-রউফ একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার লক্ষ্যে আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং স্বর্গে মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। আগে বোলিং করা পাকিস্তানি পেসাররা ছিলেন প্রথম ইনিংসে ছন্নছাড়া। ব্যাট করে কিউইরা রীতিমতো তাদের তুলোধুনো করে নির্ধারিত ওভারে ৪০১ রান সংগ্রহ করে।

ম্যাচে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে বাঁ-হাতি পেসার শাহিনের ওপর দিয়ে। সম্প্রতি আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠা ২২ বছর বয়সী পেসার ১০ ওভারে দেন ৯০ রান। এছাড়া ছিলেন উইকেটশূন্যও। ফলে বিশ্বমঞ্চে তিনিই এখন পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার। ১১টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হজম করতে হয় তাকে।

আরেক পেসার হারিস রউফ যখন বোলিং শেষ করেন, তখন শাহিনের দুটি ওভার বাকি ছিল। ততক্ষণে ৮ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে ফেলেছিলেন শাহিন। এরপর ৪৮তম ওভারে ১০ ও ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান দিলে তার পেছনে পড়ে যান রউফ। শাহিনের মতো তিনিও ১১টি চার ও দুটি ছক্কা খান। ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে তিনি ড্যারিল মিচেলের উইকেট।

রান খরচের দিক থেকে রউফের কাছাকাছি আছেন হাসান আলি। ১০ ওভারে ৮২ রান দিয়ে তিনি নেন ডেভন কনওয়ের উইকেট। এর আগে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন এই হাসান। ২০১৯ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে তিনি বেদম মার খেয়েছিলেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১ উইকেট পেতে ৯ ওভারেই ৮৪ রান খরচ করেছিলেন হাসান।

তবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিড। চলতি বিশ্বকাপেই দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হয় তার। বাস ডি লিড সেদিন ১০ ওভারে দেন ১১৫ রান। 

এএইচএস