বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে জায়গা হয়নি প্রথম একাদশে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ভারত দলে ফিরলেন। সেখান থেকে আর সরানো যায়নি তাকে। একের পর এক দুর্দান্ত স্পেলে নিজেকে করে তুলেছেন ভারতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। সর্বশেষ (বৃহস্পতিবার) তো নিজেকে ভারতীয় ক্রিকেটের অংশই করে নিয়েছেন শামি। 

বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় জাভাগাল শ্রীনাথ এবং জহির খানকে ছাড়িয়ে গেছেন মোহাম্মদ শামি। সাবেক দুই পেসারের সংগ্রহেই ছিল ৪৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে শামির উইকেট ছিল ৪০টি। এরপর নিজের স্পেলে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লেন শামি। 

লঙ্কান ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়ে ৪৪ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শামি। এরপর কাসুন রাজিথার উইকেট নিয়ে শ্রীনাথ এবং জহির খানকে ছাড়িয়ে যান শামি। 

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের ৫৫ রানে গুটিয়ে ৩০২ রানের জয় পেয়েছে ভারত। স্রেফ ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন শামি। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। 

বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে শামির এটি তৃতীয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেও ৫ উইকেট নিয়ে পান এই পুরস্কার। প্রথমবার পান ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ভারতের আর কোনো বোলার বিশ্বকাপে দুইবারের বেশি পাননি এই পুরস্কার। সব মিলিয়ে শামির চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা বোলার স্রেফ একজন- গ্লেন ম্যাকগ্রা, ৬ বার। এছাড়া চামিন্দা ভাস, লাসিথ মালিঙ্গাও তিনবার পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। 

নিজের স্পেলের প্রথম ওভারেই দুই বলে দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। ২৪ বলে ১ রান করা আসালাঙ্কাকে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। আর তারপরের বলেই ক্রিজে আসা দুশান হেমন্তকে ফেরান তিনি। খানিকবাদে শামির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন দুশমান্থ চামিরা। বাইরে চলে যাওয়া বলে খেলতে চেয়েছিলেন চামিরা। গ্লাভসে লেগে বল চলে যায় লোকেশ রাহুলের হাতে। ২৩ রানে ৭ম উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন শামি। 

জেএ