ভুলে যাওয়ার মতো একটি বিশ্বকাপ আসর পার করছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী চার বিশ্বকাপে তারা তিনটি করে ম্যাচ জিতেছিল। ভারতের মাটিতে সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা তো ছিল-ই, একইসঙ্গে সেমিফাইনালে খেলারও লক্ষ্য ছিল সাকিব আল হাসানদের। কিন্তু সেই লক্ষ্য আর বাস্তবায়ন হয়নি, পুরো বিশ্বকাপই পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে! এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত কিছু অর্জনই হয়তো সান্ত্বনা হিসেবে থাকবে টাইগারদের। তেমনই এক অর্জনে তামিম ইকবালকে ‘ধাওয়া’ করছেন লিটন দাস।

চলতি বিশ্বকাপে তামিম কেন দলে নেই— সেই আলোচনা নতুন করে তোলা বাহুল্যই বটে। দেশসেরা ওপেনার পুরো ফিট নয় দাবি করে তাকে বিশ্বকাপে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা করলেও, পরবর্তী ৬ ম্যাচেই হেরেছে সাকিবের দল। যা সবার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপের এক আসরে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের। ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ২০১৯ বিশ্বকাপে দেশসেরা ওপেনার ২৩৫ রান করেছিলেন। যা চলতি বিশ্বকাপে লিটনের চেয়ে কেবল ১০ রান বেশি। ৮ ম্যাচে তামিম ২৯.৩৭ গড়ে ওই রান করেন তামিম। চলতি আসরে লিটন এখন পর্যন্ত খেলা ৭ ম্যাচে ৩২.১৪ গড়ে ২২৫ রান করেছেন। তার সামনে রয়েছে আরও দুই ম্যাচ।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬ ম্যাচে ৬৮.৫০ গড়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ২৭৪ রান করেছেন। অবশ্য আগের তিন আসরে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সামনের সারিতে ছিলেন রিয়াদ। ২০১৯ আসরে টাইগারদের হয়ে তিনি চতুর্থ সর্বোচ্চ ২১৯ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩৬৫ রান করেছিলেন।

তবে এক আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২০১৯ আসর তিনি স্বপ্নের মতো কাটিয়েছিলেন। সেবার ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে তার ব্যাটে এসেছিল ৬০৬ রান। যেখানে দুটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি শতক ছিল সাকিবের। এর মাধ্যমে তিনি আসরটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় ছিলেন তিন নম্বরে। এবার ব্যাট হাতে সেভাবে রান পাচ্ছেন না সাকিব। টাইগার অধিনায়ক ৬ ম্যাচে মাত্র ১০৪ রান করেছেন।

এএইচএস