ব্রেন্ডন ম্যাককালাম হেড কোচ এবং বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের চেহারা। গত বছর নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে যাত্রা শুরু স্টোকস-ম্যাককালাম জুটির। মাঠের ক্রিকেটে স্টোকসের আক্রমণাত্মক মনোভাব আর ড্রেসিংরুমে ম্যাককালামের মাস্টার মাইন্ড। সবমিলিয়ে এই সিরিজ দিয়ে নতুন যুগে পা রাখে ইংলিশদের টেস্ট ক্রিকেট। ম্যাককালামের ডাকনাম 'বাজ' এর সঙ্গে মিলিয়ে তাদের এই আগ্রাসী ক্রিকেটের নাম দেয়া হয়েছে 'বাজবল তত্ত্ব'।

এবার ইংরেজি অভিধানে ঠাঁই পাচ্ছে এই ‘বাজবল’। ইংল্যান্ড টেস্ট দলের খেলার নতুন ধরনকে যে নামে ডাকা হয়, সে শব্দটি অভিধানে যোগ করেছে কলিন্স ডিকশনারি। ২০২৩ সালে কলিন্স ডিকশনারিতে নতুন যোগ করা ১০টি শব্দের মধ্যে আছে বাজবল।

বাজবলকে রাখা হয়েছে ‘নাউন’ বা বিশেষ্য হিসেবে। সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, ‘টেস্ট ক্রিকেটের একটা স্টাইল, যেখানে ব্যাটিং দল অনেক আক্রমণাত্মক উপায়ে খেলে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করে।’ এ শব্দের উৎপত্তির জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘সি২১: ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (নামের) অনুসারে, যিনি বাজ নামে পরিচিত (জন্ম ১৯৮১), নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার এবং কোচ।’

এরই মধ্যে কলিন্স ডিকশনারির অনলাইন সংস্করণে এ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাপানো ইংরেজি অভিধানের পরের সংস্করণেও জায়গা পাবে এটি।

‘বাজবল’কে অভিধানে যুক্ত করার ব্যাপারে হারপারকলিন্স (কলিন্স ডিকশনারির প্রকাশনা সংস্থা) বলেছে, ‘এবারের গ্রীষ্মের অ্যাশেজ সিরিজের রোমাঞ্চের কারণে অনেক মানুষই বাজবল নিয়ে কথা বলেছে।’

এইচজেএস