পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ২০৫ রানের টার্গেটে এখন ব্যাট করছে পাকিস্তান। 

বাংলাদেশ- ২০৪/১০ (৪৫.১ ওভার)

পাকিস্তান- ২০৫/৩ (৩২.৩ ওভার)

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

বাংলাদেশের দেওয়া ছোট পুঁজির সংগ্রহ পাকিস্তান অনায়াসেই পেরিয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশের তিনটি উইকেট তুলতে পারা অনেকটা ‘উপরি পাওনা’র মতো। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে বাবররা বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে উইকেট দিয়েছেন বাউন্ডারিতে। শেষদিকে ২৬ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ইফতিখার আহমেদ ১৭ রানে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের তৃতীয় জয় নিশ্চিত করেছেন। ১০৫ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতল বাবর আজমের দল।

এর আগে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ফখর জামান ৮১ এবং আব্দুল্লাহ শফিক ৬৮ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেটই পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাবর-ফখরকেও ফেরালেন মিরাজ

আবদুল্লাহ শফিকের পর বাবর আজম আর ফখর জামানকেও ফেরালেন মিরাজ। বাবর এসে বেশিকিছু করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহকে হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন এই ব্যাটার। ফখর ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮১ রান করা ফখর।

অবশেষে উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ

শেষ পর্যন্ত অধরা উইকেটের সন্ধান পেল বাংলাদেশ। ২২তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন আব্দুল্লাহ শফিক। ফিরে গিয়েছেন ৬৮ রান করে।

পাকিস্তান উড়ছেই!

কিছুতেই যেন থামছেন না পাকিস্তানের ব্যাটাররা। বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে উপহার দিচ্ছেন একের পর এক নান্দনিক শট। ইডেন গার্ডেনে হতাশাজনক এক সন্ধ্যা পার করছে বাংলাদেশ। তাদের লাগাম টানতে শেষ পর্যন্ত বোলিংয়ে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে, তাতেও লাভ হয়নি। ১৭ ওভারেই পাকিস্তান তুলেছে ৯৭ রান।  

ব্যাট হাতে দারুণ শুরু পাকিস্তানের

২০৫ রানের লক্ষ্য। এমন অবস্থায় দারুণ বোলিংয়ের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু, পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও নিরীহ বোলিংটাই করছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে পাকিস্তানের শুরুটাও হলো দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতেই ফিফটি পার। দশ ওভারে রান এসেছে ৫২। 

প্রতিপক্ষ বদলায়, বাংলাদেশের দুর্দশা বদলায় না

টানা পাঁচ হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ। টুর্নামেন্টের বাকি থাকা তিন ম্যাচে নতুন শুরুর আশার কথা শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উল্টো নিজেদের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাই ধরে রাখল বাংলাদেশ।

এদিন আরও একবার ব্যর্থ টাইগার ওপেনাররা। আরও একটা হতাশার শুরু হয় বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে ২৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাড়ে চাপ। সেই চাপ সামলে মাহমুদউল্লাহ, লিটন ও সাকিবের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও বাংলাদেশের ইনিংস থামল সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৪ রানে।

পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশের সাদামাটা সংগ্রহ

মোহাম্মদ ওয়াসিম আগের ম্যাচে দারুণ বল করেছিলেন। এই ম্যাচেও ধারাবাহিক ভাল বল করেছেন। তবে, উইকেট পাওয়া হয়নি। তবে টাইগারদের ইনিংসের শেষ করেছেন তিনিই। মিরাজ-তাসকিনের পর মুস্তাফিজকেও ফেরালেন তিনি। বাংলাদেশ অলআউট ২০৪ রানে।

দুইশ স্পর্শ বাংলাদেশের, বিদায় মিরাজ-তাসকিনের

সাকিব চলে গেলেও বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাসকিনকে নিয়ে দেখেশুনে পার করেছেন দুইশ। এরপরেই ওয়াসিমের জোড়া আঘাত। ফিরে গিয়েছেন মিরাজ এবং তাসকিন দুজনেই। দুইজনেই হয়েছেন বোল্ড। সম্মানজনক স্কোরের স্বপ্নটাও ধাক্কা খেল আচমকা

সাকিবকে থামালেন রউফ

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর দিকে রীতিমতো ধুঁকছিলেন সাকিব। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যক্তিগত ফিফটির দিকে এগোচ্ছিলেন। ইফতিখারের করা ৩৭তম ওভারে চড়াও হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মারলেন টানা তিন চার। বিধ্বংসী হয়ে উঠার আগেই থেমেছেন অবশ্য। হারিস রউফের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়লেন তিনি। ৬৪ বলে ৪ চারের মারে ৪৩ রান করেছেন সাকিব। দুইশ’র আগেই সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মিরাজের সঙ্গে জুটি বেধেছেন তাসকিন। শেষের শুরু হলো বাংলাদেশের। 

হৃদয়ের ৩ বলের ইনিংস

উসামা মীরের আগের বলেই স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এরপর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দৃষ্টিকটুভাবে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেন হৃদয়। অফ স্টাম্পের বাইরে করা ডেলিভারিটি দূর থেকেই খেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাওয়া বল প্রথম স্লিপে সহজেই ক্যাচ নেন ইফতিখার আহমেদ।

দুই ম্যাচ পরে দলে ফিরে টিকলেন মোটে ৩ বল। রান করলেন ৭। তার বিদায়ে দেড়শ’র আগেই ৬ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাধতে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাহমুউদল্লাহকে ফেরালেন আফ্রিদি

ক্রিজে আটকে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। খোলস ছেড়ে বেরোতে প্রাণপণ লড়াই সাকিবেরও। এমন সময় উইকেটের খোঁজে শাহিন আফ্রিদিকে আক্রমণে আনলেন বাবর। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে সময় নিলেন না। শাহিনের বলে স্টাম্প ভাঙল মাহমুদউল্লাহর। ৭০ বলে ৫৬ রান করেছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটার। তার বিদায়ে আবারও চাপে বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং পজিশন বদলাল ৫ বার। আজ প্রমোশন পেয়ে উঠে আসলেন পাঁচে। আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন ভালোভাবেই। ২৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর লিটনের সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছিলেন। এবার নিজেও তুলে নিলেন ফিফটি। ৫৮ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ করেছেন রিয়াদ।

উইকেট বিলিয়ে দিলেন লিটন

ছুটছিলেন লিটন। বিশ্বকাপজুড়ে ব্যাট হাতে তেমন ছন্দে না থাকলেও আজ শুরুটা করেছিলেন আশাব্যঞ্জক। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলের শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন। নিজেও ফিফটি থেকে আর মাত্র ৫ রান দূরত্বে ছিলেন। এমন সময় অবিশ্বাস্য একটা ভুলটা করে বসলেন। ইফতিখারের বলে চিপ করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিলেন লিটন। লুফে নিতে ভুল করলেন না আগা সালমান।

একেবারে সাদামাটা একটা ডেলিভারি। লেগ সাইডে অনায়াসে খেলতে পারতেন লিটন। তিনি ক‍্যাচ তুলে দিলেন মিডউইকেট ফিল্ডারের হাতে! কি বলে কি শটে আউট হয়েছেন, নিজেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। জায়গা থেকেই যেন নড়তে পারছিলেন না এই ওপেনার। গ্যালারিতে ভর করে রাজ্যের নিরবতা। লিটনের এমন আউটে মাথায় হাত মাহমুদউল্লাহরও। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে হতাশায় ব্যাট দিয়ে নিজের হেলমেটে আঘাত করলেন লিটনও। 

লিটন-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ৫০

২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চাপ সামলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইতোমধ্যে তাদের জুটির রান পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। ৬২ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত লিটন। ৪২ বলে ৪১ রানে খেলছেন ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ।

লিটন-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

আরও একবার ব্যর্থ ওপেনাররা। আরও একটা হতাশার শুরু বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে টাইগার ব্যাটাররা। শাহিন আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। আফ্রিদির পরের ওভারে একই পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন প্রমোশন পেয়ে চারে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমও আরেকবার ব্যর্থ। তিন জনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে চতুর্থ উইকেট জুটিতে লড়ছেন লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত লিটন। খেলছেন ২৬ বলে ২৫ রানে আছেন ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ।

শাহিনের ‘দ্রুততম সেঞ্চুরি’র রেকর্ড

প্রথম ব্রেকথ্রুটা এসেছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির হাত ধরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আক্রমণে এসে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিমকে। সেই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শততম উইকেট পূর্ণ করলেন শাহিন আফ্রিদি। স্রেফ ৫১ ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন বাঁহাতি এই পেসার।

বাংলাদেশ দলে কিছু একটা ঠিক নেই : ভন

বিশ্বকাপে শোচনীয় পারফরম্যান্সে সমালোচনা হচ্ছে অনেক। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট-খেলোয়াড় সবাইকেই দায়ী করছেন ভক্ত-সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া আসছেই। এর মধ্যে আজ ক্রিকবাজে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ–পূর্ব আলোচনায় ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ভন বলেন, বাংলাদেশ দলে কিছু একটা ঠিক নেই। খেলোয়াড়েরা একে অন্যের জন্য খেলছে না, এটা উদ্বেগের বলেও মনে করছেন তিনি। 

তানজিদ-শান্তর পথ ধরলেন মুশফিক

৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০ রান। বাংলাদেশের বাজে শুরু নিঃসন্দেহে।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসেছিলেন হারিস রউফ। টুর্নামেন্টে ছন্দে না থাকা এই পেসারকে ভালোই খেলছিলেন দুই ব্যাটার। ফুললেংথের দুটি বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে দুটি চার মেরে শুরু করেন লিটন। এরপর পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়ে চার মারেন মুশফিকও। শেষ বলে গুড লেংথ ডেলিভারি মুশফিকের ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের গ্লাভসে। ৮ বলে এক চারে ৫ রান করে সাজঘরে মুশফিক। 

শাহিনের দ্বিতীয় শিকার শান্ত

ইনিংসের প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন তানজিদ তামিম। এবার ফিরলেন নাজমুল শান্ত। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মীর ডানদিকে ঝুঁকে দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। তৃতীয় ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৬ রান তুলতেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ওভারেই সাজঘরে তানজিদ তামিম

হারের বৃত্ত ভাঙতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ওপেনার তানজিদ তামিম। রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি সেটি, উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। তানজিদ তামিম ফিরেছেন কোনো রান না করেই, বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলতেই।

হৃদয়কে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন শেখ মেহেদি। তার জায়গায় ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়। অন্যদিকে, তিন পরিবর্তন রয়েছে পাকিস্তান একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ- লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম। 

পাকিস্তান একাদশ- ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, উসামা মির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।

 এফআই