৩৮ মিনিটেই বায়ার্নের ৮ গোল, কেইনের হ্যাটট্রিক
‘একপেশে’ কিংবা ‘গোলবন্যা’ বললেও বোধহয় কম হবে! বুন্দেসলিগার ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৩৮ মিনিটেই যে রীতিমতো তাণ্ডব চালালো বায়ার্ন মিউনিখ। ওই সময়ের ভেতর তারা ডার্মস্ট্যাডের জালে ৮ বার বল পৌঁছায়। এর মধ্যে বাভারিয়ানদের হয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন হ্যাটট্রিক করেছেন। তবে এদিন প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল পারেনি। ফলে ৮-০ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ঘরের মাঠে বায়ার্ন বুন্দেসলিগায় ফেরা দল ডার্মস্ট্যাডকে আতিথ্য দিয়েছে। পুরো ম্যাচে দুই দলের তিন ফুটবলার লাল কার্ড দেখেছেন। স্বাগতিকদের দাপুটে জয়ের দিনে দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরলেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। গত ডিসেম্বরে স্কিইং করার সময় চোট পাওয়ায় এতেদিন তিনি খেলার বাইরে ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বড় হার দেখলেও ৫০ মিনিট পর্যন্ত বায়ার্নকে আটকে রাখার দারুণ কৃতিত্ব দেখিয়েছে ডার্মস্ট্যাড। অবশ্য পরের ৪০ মিনিটে কী ঝড় আসতে চলেছে দলটা একবারও হয়তো টের পায়নি! যদিও এদিন ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন বায়ার্ন মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিখ। প্রথমার্ধে দুই ডিফেন্ডারকে হারিয়েছে ডার্মস্ট্যাডও। ২১ ও ৪১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ক্লাউস গজাসুলা এবং মাতেজ ম্যাগলিকা।
বায়ার্নের একপেশে ম্যাচটিতে সব গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে, ৫২ থেকে ৮৮ মিনিটের মধ্যে। গোল উৎসবের শুরুটা কেইন করেছিলেন, শেষটাও হয়েছে তারই হাত ধরে। মাঝে ৬০ গজ দূর থেকে ইংলিশ তারকা দর্শনীয় একটি গোল করেন! দারুণ এই হ্যাটট্রিকের মধ্য দিয়ে লিগে প্রথম ৯ ম্যাচে কেইনের গোল হলো ১২টি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম ৯ ম্যাচে ১০ গোলও নেই আর কারও!
এছাড়া বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন জামাল মুসিয়ালা ও লেরয় সানে। আরেকটি গোল আসে টমাস মুলারের পায়ে। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চূড়ায় উঠে এসেছে বায়ার্ন। এক ম্যাচ কম খেলে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান বায়ার লেভারকুসেনের। ডার্মস্টাড ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪ নম্বরে।
এএইচএস