বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে নেদার‌ল্যান্ডস। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা তাদের সর্বশেষ জয় এনে দিয়েছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাচদের হারানোর ঘটনাকে অঘটন বলা হলেও, সাকিব আল হাসানদের হার-ই যেন প্রাপ্য ছিল। একের পর এক ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিসের পর বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করেছিল বাংলাদেশ। বিপরীতে মাত্র ২৩ রানেই ৪ উইকেট নিয়েছেন ডাচ পেসার পল ভ্যান মিকেরেন। কিন্তু তার ম্যাচসেরা হওয়ার লড়াইটা যে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গেও করতে হয়েছে!

গতকাল (শনিবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতায় প্রথমে ব্যাটিং করা ডাচদের মূলস্তম্ভ ছিলেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। কারণ তার ৬৮ রানে ভর করেই ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে নেদারল্যান্ডস ২২৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায়। এরপর উইকেটের পেছনে থাকা এডওয়ার্ডস ম্যাচজুড়ে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন। ফলে ম্যাচসেরা হওয়ার বড় দাবিদার ছিলেন তিনিই। 

কিন্তু মিতব্যয়ী বোলিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসে দেওয়ার মূল কাজটা যে করেছেন মিকেরেন। তাই তো ১৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিনি প্রথমবারের মতো জয়ের নায়ক। এক সময় অর্থের যোগান মেটাতে ডেলিভারিম্যানের কাজও করেছিলেন এই মিকেরেন, এবার বিশ্বকাপে ডাচদের হয়ে সুযোগ পেয়েই নিজের মাঠের প্রতিভাও দেখিয়ে দিলেন।

ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশকে ৮৭ রানে হারিয়েছে ডাচরা। যেখানে দলের বড় উইকেটগুলো এসেছে মিকেরেনের বলে। বল হাতে প্রথম ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরালেন পল ফন মিকেরেন। পরে তার শিকার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। শেষে তাসকিন আহমেদকে আউট করে নেদারল্যান্ডসের স্মরণীয় জয়টাও নিশ্চিত করলেন তিনি।

বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও। আগের সেরা বোলিং ইনিংসটি ছিল টিম ডি লিডির ৩৫ রানে ৪ উইকেট, ভারতের বিপক্ষে ২০০৩ সালে। এরপর চলতি বিশ্বকাপে তার ছেলে বাস ডি লিডিও চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। তবে তিনি রান দিয়ে ফেলেছিলেন ৬২।

এদিন মিকেরেন প্রথম আক্রমণে আসেন দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি দূর থেকে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন শান্ত। এক ওভার পর স্টাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি কাট করার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু জায়গা ছিল না তেমন। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল জমা পড়ে এডওয়ার্ডসের গ্লাভসে। নিজের পরের ওভারে ভেতরে ঢোকা দারুণ ডেলিভারিতে মুশফিককে বোল্ড করেন মিকেরেন। শেষটা করেন তাসকিনকে বাউন্সারে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে!

এএইচএস