বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপেনিং জুটি। তবে ছয় ইনিংসে তাদের ব্যাটে যৌথভাবে রান এসেছে কেবল একবার। ভারতের বিপক্ষে লিটন-তামিম জুটি ৯৩ রান করলেও দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের পিছু ছাড়েনি। দৃষ্টিকটু ব্যাটিং দেখিয়েছে টপ অর্ডাররা। টাইগাররা সর্বশেষ একই প্রদর্শনী দেখিয়ে চলেছে নেদার‌ল্যান্ডসের বিপক্ষে।

আজ (শনিবার) কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ডাচদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের দল নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। ফলে নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে ডাচরা ২২৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।

জবাবে রান করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাকিবের দল ২৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৭ রান করেছে। এদিন বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটাই হয়েছে দৃষ্টিকটু আউটে। ১৯ রানেই পরপর বিদায় নেন দুই ওপেনার লিটন-তামিম। কোনো প্রয়োজন ছাড়াই পঞ্চম ওভারে স্পিনার আরিয়ান দত্তের দ্বিতীয় বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। তার গ্লাভসে বল লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার স্কট এডওয়ার্ডসের হাতে। লিটন ১২ বলে ৩ রান করে ফিরেন।

এরপর ডাচ পেসার ফন বিকের করা গুড লেংথের উঠে আসা বলটি যেকোনো ফর্মে থাকা ব্যাটারও ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই বলটিকে পুল করতে গিয়ে তানজিদ তামিমও এডওয়ার্ডসের গ্লাভসে বন্দি। ৩টি চারের বাউন্ডারিতে বাঁ-হাতি ওপেনার মাত্র ১৫ রানে বিদায় নেন। এ নিয়ে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে ওপেনারদের রানের চিত্রটা এমন— ১৯, ১৪, ০, ৯৩, ১০, ১৯।

আজ ওপেনারদের এমন নড়বড়ে শুরুর সময়ে চার ওভারে মাত্র ৪ রান নিতেই লিটন-তামিমের দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর একে একে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। টানা অফফর্মে থাকা শান্ত স্টাম্পের বেশ বাইরের ফুললেংথের বলে মনোযোগ হারিয়ে ব্যাট চালিয়েছেন। পল ফন মিকেরেনের সেই বলটি শান্ত’র ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচে পরিণত হয় স্লিপ-ম্যানের হাতে।

এভাবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আউট হওয়ার বর্ণনা দিতে গেলে কেবলই হতাশা বাড়বে! খোঁচা দিয়ে আউট হওয়া সাকিবের ব্যাটে ৫ (১৪ বল) এবং মুশফিক করেছেন ১ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইটাও যে সুখকর হচ্ছে না।

চলতি বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে লিটন এখন পর্যন্ত দুটি এবং তানজিদ তামিম একটি ফিফটি পেয়েছেন। ব্যর্থতা কেবল ওপেনিংয়ে-ই নয়, ধারাবাহিকভাবে ব্যাট হাতে একই পরিণতি বরণ করেছেন টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও। শান্ত-সাকিবরা ব্যাট হাতে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। ধারাবাহিক নন মুশফিকও। সেই তুলনায় বাংলাদেশের একমাত্র ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ বিশ্বকাপ দলে তার থাকারও কথা ছিল না!

এএইচএস