বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের ‍মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডস ব্যাটারদের চেপে ধরেছে টাইগার বোলাররা। শুরুতে বাংলাদেশের তিন পেসারই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এরপর সেই দলে যোগ দেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। এর মাধ্যমে তিনি আরেকটি রেকর্ডে নিজের নাম লেখালেন।

শুরুতে ডাচরা দ্রুত উইকেট হারানোয় ক্রিজে এসে বেশ সতর্ক ছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন তিনি। শর্ট-ফাইনলেগে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। অ্যাকারম্যানকে ফিরিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বনে গেলেন সাকিব।

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বর্তমানে বিশ্বকাপে ৪১টি উইকেটের মালিক। টাইগার অধিনায়কের পর ৪০ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ-স্পিনার ইমরান তাহির। এই রেকর্ড গড়তে সাকিব ৩৪টি ইনিংস খেলেছেন। বিপরীতে প্রোটিয়া স্পিনার খেলেছেন ২১ ইনিংস। এছাড়া স্পিনারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা মুত্তিয়া মুরালিধরন ৩৯ ইনিংসে নিয়েছেন ৬৮ উইকেট।

এর আগে ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন সাকিব। ৫ বিশ্বকাপ খেলে ১ হাজার ১৬১ রান এবং ৩৮ উইকেট নিয়ে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে যান। এরপর অবশ্য রান ও উইকেটের সংখ্যা আরও বেড়েছে সাকিবের। এই তালিকায় তার পেছনে আছেন ইমরান খান-কপিল দেবের মত রথী-মহারথীরাও। তবে এর আগে তালিকায় সাকিব ছিলেন তৃতীয়, তার সামনে থাকা ক্রিস গেইল ও সনাৎ জয়সুরিয়াও এখন তার পেছনে পড়ে গেলেন!

চলতি বিশ্বকাপে এ নিয়ে সপ্তম উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। ইনজুরির কারণে তিনি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। বল হাতে মোটামুটি উজ্জ্বল হলেও, ব্যাট হাতে ম্লান টাইগার অধিনায়ক। সে কারণে তিনি ডাচদের সঙ্গে ম্যাচের আগে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে ঢাকায় উড়ে আসেন। যদিও তা নিয়ে কম সমালোচনায় পড়েননি তিনি।

এসএইচ/এএইচএস