তিনি হ্যাঁ বললেই ম্যাচটা হতে পারতো পাকিস্তানের। টিকে যেত পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটাও। কিন্তু অ্যালেক্স হোয়ার্ফের সাড়া পাওয়া যায়নি। তাবরাইজ শামসিকে আউট দেননি তিনি। মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নিয়েছে। তাতে দেখা যায় রউফের করা ইন সুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ৫০ শতাংশের বেশি স্পর্ষ করেনি ওই বল। 

স্বাভাবিকভাবেই আম্পায়ার্স কলে টিকে যান শামসি। ম্যাচটা পরে জিতেও নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানকে পুড়তে হয় ১ উইকেটে হারের আক্ষেপ নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে না জেতার জন্য তাই ডিআরএস এবং আম্পায়ারকে দুষতেই পারে পাকিস্তান। তবে দলের অধিনায়ক বাবর আলমের এসবে আক্ষেপ নেই। তার আক্ষেপ রান কম হওয়া নিয়ে। 

ডিআরএসের ব্যাপারে বাবরকে প্রশ্নও শুনতে হয়েছে। বাবর অবশ্য এটাকে বলছেন খেলার অংশ। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হলে তার দল লাভবান হতো বলে মন্তব্য বাবরের, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ।’

রান আর কিছুটা বেশি হলেও পাকিস্তান জিততে পারত। চেন্নাইয়ের পিচে রান করা তেমন কষ্ট ছিল না। শেষে মূলত এ নিয়েই আক্ষেপ ঝরল বাবরের কণ্ঠে, ‘শেষটা ভালো করতে পারিনি। পুরো দলই আমরা হতাশ। আমরা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ১০–১৫টা রান কম হয়ে গেছে। এরপর ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল পক্ষে আসেনি।’

পাকিস্তান এখন আছে ছয় নম্বরে। ম্যাচ বাকি তিনটি। বাকি তিন ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৮। তাতে সেমিফাইনালে ওঠার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। দুশ্চিন্তাই তাই এখন বাবরের সঙ্গী। চাইছেন, অন্তত শেষটা ভাল করতে ‘শেষ তিন ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’ লিগ পর্বে পাকিস্তানের শেষ তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

জেএ