বিশ্বকাপে টানা তিন হারে খুব একটা স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। আর এক ম্যাচে পা হড়কালেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আশা দুরাশায় পরিণত হতে পারে। এমন সমীকরণে আজ উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ পাক উদ্বোধনী জুটি। টপ ও মিডলঅর্ডারেও কেউ সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারলেন না। শেষ দিকে সৌদ শাকিল ও শাদাব খানের ৭১ বলে ৮৪ রানের জুটিতে আড়াইশো পেরোয় পাকিস্তানের ইনিংস।

আজ (শুক্রবার) চেন্নাইয়ের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ দশমিক ৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তবে তার আগে বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের ফিফটিতে ভর করে ২৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে ৯২' বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি প্রত্যাবর্তনটা রাঙালেন। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া এই স্পিনার। এ ছাড়া মার্কো জানসেন তিনটি ও জেরাল্ড কোয়েটজে দুটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে পাকিস্তানের। জানসেনের বলে লুঙ্গি এনগিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ৯ রানে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক। স্কোরবোর্ডে আরও ১৮ রান যোগ করতেই আবারও আঘাত প্রোটিয়াদের। এবারও সেই জানসেনে ধরাশায়ী ইমাম উল হক। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ পাক এই ওপেনার আবারও হতাশ করলেন। 

৩৮ রানে দুই উইকেট পতনের পর হাল ধরেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ জুটি বাবর আজম ও রিজওয়ান। ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন রিজওয়ান। শেষমেশ কোয়েটজের বাউন্সারে ব্যাট লাগিয়ে ডি ককের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারের মার ও এক ছক্কায় ২৭ বলে ৩১ রান করেন পাক এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

দলীয় ১২৯ রানের মাথায় শামসিকে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন ইফতিখার। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন বাবরও। ৬৫ বলে ৪ট চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দেড়শোর আগেই ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের। আরেকটা লো স্কোরিং ম্যাচের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে বিবর্ণ বিশ্বকাপ কাটানো শাদাব ও সৌদ শাকিলের ৭১ বলে ৮৪ রানের জুটিতে মান বাঁচে পাকিস্তানের। 

সৌদ শাকিল (৫২) ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিলেও ৪৩ রানে থামেন শাদাব। এই জুটির বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারেননি টেলএন্ডাররা। 

এফআই