টানা তিন পরাজয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার পথ কঠিন হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের জন্য। তবুও তারা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে আজ (শুক্রবার) দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে। সে তুলনায় এক কাঠি সরেস পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তিনি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বাবর আজমদের আর ৬ ম্যাচ জেতার কথা বলেছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের টানা হারের জন্য পুরনো পিচ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ।

বাবররা যাতে সেমিফাইনাল খেলতে না পারেন, সেজন্য বিসিসিআই এই কৌশল করেছে বলে দাবি হাফিজের। তার মতে, চেন্নাইয়ের যে পিচে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ হয়েছিল, সেই পিচেই খেলতে হয় পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হাফিজ প্ৰশ্ন তুলেছেন, ‘পাকিস্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগের ব্যবহৃত ট্র্যাকে খেলানো হচ্ছে। যে পিচে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ খেলা হলো, সেই পিচ এই ম্যাচের জন্য ফ্রি রাখা হয়েছিল। অন্য কোনো দলকে এমন পিচে খেলতে হবে না। সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে এরকম করা হল।’

পাকিস্তানের এক ক্রীড়াবিষয়ক টকশো-তে হাজির হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে সেই আলোচনার ভিডিও নিজের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন হাফিজ। যেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘টসের সময় স্পাইডার-ক্যাম প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত।’

চলতি বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে– টস ম্যাচের ফলাফলের অন্যতম নির্ণায়ক। উইকেটের আচরণ, ফ্লাডলাইট, শিশির- একাধিক বিষয় বিবেচনা করে টসজয়ী দল পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নেয়। টস ম্যাচের ফলাফলে একমাত্র কারণ না হলেও, টসজয়ী দল যে বাড়তি সুবিধা পায়, সে কথা বলার অবকাশ থাকে না। সে কারণে হাফিজ মনে করেন, টসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, হাফিজ এর আগেও বিশ্বকাপের পিচ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তখন সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছিলেন, বিসিসিআই মোটেই নিরপেক্ষভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে না। পাকিস্তান যাতে সেমিফাইনালে খেলতে না পারে, সেজন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি হাফিজের।

এএইচএস