বিশ্বকাপে যাত্রা শুরুর আগে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলাকে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল। অথচ এশিয়া কাপ ও সর্বশেষ ঘরের মাঠের সিরিজেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ভালো করতে পারেনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ বাদে এখন পর্যন্ত আর জয়ের স্বাদ পায়নি সাকিব আল হাসানের দল। হ্যাটট্রিক হারের পর অধিনায়ক সাকিব জানিয়েছিলেন, এখনও সেমিতে খেলার আশা বেঁচে আছে তার। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর এবার তিনি ভিন্ন লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন।

বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় কেবল একটিতে। তবে এখনও সব শেষ নয়– সেটিও মনে করিয়ে দিলেন সাকিব। অবশ্য এখন আর তিনি সেমিফাইনালের আশা করছেন না, ‘এই টুর্নামেন্টের আরও অনেক সময় বাকি আছে, যেকোনো কিছু হতে পারে। অনেক কিছু শেখার আছে, অনেক খেলা বাকি আছে। আমরা সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও পাঁচ-ছয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই। আশা করি আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবো।’

ম্যাচ হারের জন্য প্রথম ইনিংসের শেষদিকে বাজে বোলিংকে দায়ী করেছেন সাকিব। একইসঙ্গে তিনি প্রশংসা করেছেন ডি কক ও ক্লাসেনের, ‘আমরা প্রথম ২৫ ওভারে ভালো বোলিং করেছি। তিন উইকেট পাওয়ার পাশাপাশি ওভারপ্রতি ৫ রান করে ছিল তাদের। তারপরই আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলাম। ডি কক অনেক ভালো করেছে, আর ক্লাসেন যেভাবে ম্যাচ শেষ করেছে এটার উত্তর আমার কাছে জানা নেই। এমন মাঠে এটা হওয়া স্বাভাবিক, তবে আমাদের বোলিংয়ে আরও ভালো করা উচিত ছিল। শেষ ১০ ওভারেই আমরা ম্যাচ হেরে গেছি।’

সাকিব কেবল বোলিংয়ের কথা বললেন, ব্যাটিংয়েও যে বাংলাদেশ বলার মতো কিছু করতে পারেনি যেন তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন। সেই প্রসঙ্গ ম্যাচশেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সংবাদ সম্মেলনে ওঠে আসে। রিয়াদ বলেন, ‘৪০ ওভারে তাদের ২৩০-২৪০ রান ছিল। স্কোর যদি ৩৩০-৩৪০ হতো তাহলে ভালো হতো। এ নিয়ে সাকিব-মুশির সঙ্গেও কথা বলছিলাম, বোলারদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছিল উইকেট খুব ভালো ছিল। ৩২০-৩৩০ রান তাড়া করার মতো ছিল এই উইকেটে। সে হিসেবে ৩৮০ রান অনেক বেশি।’

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ কতটা ব্যাটিং সহায়ক— সেটি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া প্রতিটি দলই জানে। সেই পিচে পরপর দুই ম্যাচে সাড়ে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ ম্যাচে তাদের দেওয়া ৩৮৩ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৩৩ রানে। বাংলাদেশের হয়ে বলার রান পেয়েছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ, তিনি করেছেন ১১১ রান।

এসএইচ/এএইচএস