দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের আটকে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশি বোলারদের। সেই চ্যালেঞ্জের শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না। ৩৬ রানে দুই উইকেট ফেলে দেওয়ার পর ডি কক আর মার্করামরা বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও ৪০ ওভার পর্যন্ত তাদের ২৩৮ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হন মুস্তাফিজ-হাসানরা।

যদিও শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে ১৪৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগার বোলাররা ওপরের দিকে বল করেও উইকেট তুলতে পারেননি। এ নিয়ে ম্যাচশেষে হতাশাই ছিল পেসার হাসান মাহমুদের কণ্ঠে।

মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে হাসান বলেন, ‘ওরা খুব ভালো ব্যাট করেছে। ভালো বলেও অনেক মেরেছে। আমাদের এক্সিকিউশনটা আরেকটু ভালো হলে হতো। যে ইয়র্কারগুলো চেষ্টা করেছিলাম, অন্তত ফুল লেন্থে ছিল। কিন্তু অন্য ধরনের ব্যাটার হলে মারা একটু কঠিন ছিল। কিন্তু ওরা বিশ্বমানের ব্যাটার।’

শেষদিকে হাসান ও মুস্তাফিজ দুজনেই ইয়র্কার করতে গিয়ে দিচ্ছিলেন ফুলটস। এটি ঠিক কি কারণে? হাসান বলেন, ‘বলা চলে। আপনি তো ইয়র্কার চেষ্টা করবেন করার জন্য। মিস হলে তো কিছু করার নাই। মিস হতেই পারে।’

ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছেন হাসান মাহমুদ। দুই ম্যাচের প্রথমটিতে ভারতের বিপক্ষে ৮ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ১ উইকেট এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৬ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।

নিজের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে হাসান বলেন, ‘এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। আমি চেষ্টা করছি এটার ভেতরে ঢোকার। কিন্তু উইকেট ব্যাটারদের জন্য খুব ভালো। বোলাররা ভুগছে। আমরা চেষ্টা করবো পরের ম্যাচে সেরাটা দিয়ে মোমেন্টাম পাওয়ার। সেটা শেষ ম্যাচ অবধি টেনে নেওয়া।'

এসএইচ/এফআই