ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপে শুরু থেকেই উড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আগে ব্যাট করা মানেই প্রতিপক্ষের ওপর ঝোড়ো তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ গড়ে ফেলা। যার নিচে চাপা পড়তে দেরি করছে না বিপক্ষ দলগুলো। যদিও নেদারল্যান্ডসের কাছে এই প্রোটিয়া দলটিকেই বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটনের শিকার হতে হয়েছে। এরপর নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে হারিয়েছে। এই ম্যাচ ও চলতি বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৪ রান নিয়ে কুইন্টন ডি কক প্রোটিয়াদের জয়ের নায়ক বনে গেছেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৬ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১১১ রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। 

উইকেট বিলানোর প্রতিযোগিতায় একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই লড়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। অবশ্য তার সেঞ্চুরিতেও টাইগাররা বড় হার এড়াতে পারেনি।

এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ডি কক। বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নিতে চাওয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার কি দারুণ সময়ই না পার করছেন। এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডি কক গতকাল তাণ্ডব চালানোর ম্যাচে খেলেছেন ১৪০ বল। এমন ইনিংসের পর কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারা যায়, তবে তিনি বেশ ক্লান্তও! মুম্বাইয়ের মতো উচ্চ তাপমাত্রার শহরে ম্যাচজুড়েও ক্রিকেটারদের হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে।

ম্যাচ শেষেও পুরস্কার নেওয়ার সময় সেটাই জানালেন ডি কক, ‘সন্তুষ্টির চেয়ে আমি বেশ কিছুটা ক্লান্ত বটে! দারুণ একটা দিন, সবাই নিজেদের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করেছে। বোর্ডে পূর্ণ পয়েন্ট তুলতে পারা আনন্দের। (এটি সম্ভবত বিশ্বকাপের ভাগ্য বদলে দেবে), আমি নিশ্চিত নই।’

১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ দারুণভাবেই না রাঙালেন ডি কক। তাই তো তার জন্য ম্যাচটি আরও স্মরণীয়, সঙ্গে সতীর্থ হেইনরিখ ক্লাসেনকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন, ‘প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার মনে হয় এটি হয়ে গেছে (১৫০তম ম্যাচের জন্য সেভাবে পরিকল্পনা ছিল না)। যদিও সকালে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, এরকমটা সাধারণত হয় না। ক্লাসেন দুর্দান্ত, আমি তার সঙ্গে জুস পান করতে চাই। যে দলেই খেলুক না কেন সবার জন্য সে স্পেশাল। টুর্নামেন্টটিকে সে ঝড় বইয়ে দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে।’

এএইচএস