দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৪৯ রানের বড় পরাজয়। তবে পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি। অবশ্য তার কারণও নিশ্চয়ই রয়েছে। দলের আরও বড় হার ঠেকানোর পাশাপাশি তার দলে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ও এর বড় কারণ। বিশ্বকাপ দলে যে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের থাকা নিয়ে তুমুল জলঘোলা হয়েছিল। সমর্থকদের আন্দোলন ও ঘরের মাঠের একটি সিরিজ দিয়ে তিনি জায়গা পান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রিয়াদ ৪৯ রান করেছিলেন। এরপর বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলেও প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট করা লাগেনি। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন একাদশের বাইরে। এরপর নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব রান। কিন্তু সেসব ম্যাচে তার কাঁধে ছিল ডেথ ওভারে পুঁজি বড় করার চ্যালেঞ্জ। আর যথেষ্ট সময় পেতেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মাহমুদউল্লাহ।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে আজ দলের বিপর্যয়ের পর ফের দেখালেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি। রীতিমত লজ্জার হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১১১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তার সেঞ্চুরি উদযাপনেও ছিল আলাদা বার্তা। যেটি বুঝে নিতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে ক্রিকেটভক্তদের।

দল থেকে বাদ পড়ার পর কাউকেই কখনও কোনো দোষ দেননি মাহমুদউল্লাহ। একাকী পরিশ্রম করে গেছেন, অটুট বিশ্বাস রেখেছিলেন আল্লাহর ওপর। তাইতো সেঞ্চুরি করে মাঠে সেজদায় অবনত হলেন। এর আগে এক আঙুল উঁচিয়ে হয়তো বোঝালেন, ‘এটি আমার কাজ নয়, সব ওপরওয়ালার অবদান’ কিংবা ‘ওপরে একজন আছে, তিনিই সবকিছু ফয়সালা করেন!’

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৮৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২৩৩ রানে। কিন্তু টাইগারদের এই ইনিংস থেমে যেতে পারত একশ রানের আগে-পরে। সেই পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার বড় অবদান তো রিয়াদেরই। তিনি যখন ব্যাটে নেমেছিলেন তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে মোটে ৬০ রান। শঙ্কা চেপে বসেছিল বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের। কিন্তু সেই লজ্জা থেকে অন্তত বেঁচে গেল বাংলাদেশ!

এসএইচ/এএইচএস