বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া রানপাহাড় তাড়ায় আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমানো যায়। সেটা করতে গিয়ে চলতি বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিই তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিটিও তার ব্যাটেই এসেছিল। প্রথম দুটিই ছিল তার। মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরিটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
একাধিক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড়ও রিয়াদ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যক্তিগত শতক দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। তার মধ্যে রেকর্ড তিনটি ম্যাজিক ফিগার এসেছে রিয়াদের ব্যাটে। এছাড়া দুটি সেঞ্চুরি আছে সাকিব আল হাসানের, মুশফিকুর রহিম করেছেন একটি।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়ে কত জলঘোলা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহকে দলে অন্তর্ভূক্তির জন্য এরপর আন্দোলনও করেছেন সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ফিরে রিয়াদ বুঝিয়ে দিয়েছেন– তিনি ফুরিয়ে যাননি। বিশ্বকাপেও ম্যাচের শেষদিকে নেমে যথাক্রমে দুই ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ৪১ ও ৪৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হয়ে তিনি চলতি বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরি করেছেন।
আরও পড়ুন
সর্বশেষ এশিয়া কাপেও দর্শক হয়ে ছিলেন রিয়াদ। এরপর বিশ্বকাপেও জায়গা পাওয়ার সংশয় ছিল, সেটি কাটিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মারও। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোতে রিয়াদকে সাত নম্বরে নামানোয় টিম ম্যানেজমেন্ট সমালোচিত হয়েছিল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একধাপ এগিয়ে তাকে নামানো হয় ছয় নম্বরে। অথচ তখন বাংলাদেশ পুরোদমে বিপর্যস্ত, ৬০ রানেই নেই তাদের ৫ উইকেট।
এরপর অপরপ্রান্তে তাকে টেল-এন্ডাররা আসা-যাওয়ার মাঝেই বিরতি দিয়ে সঙ্গ দিচ্ছিল। সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে দাঁড়িয়ে এবারের সেঞ্চুরি করতে মাহমুদউল্লাহর লাগল ১০৪ বল। অনবদ্য ইনিংসটিতে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে শেষ পর্যন্ত তিনি ১১১ বলে করেছেন সমান ১১১ রান।
এএইচএস