‘বাবরদের দেখে মনে হয় ওরা প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খায়’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর বাবর আজমদের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে সমালোচনার তির। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হারের পরপরই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয় না বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। আফগানদের বিপক্ষে ভরাডুবির পর ফিটনেস নিয়ে ফের আক্রমণ করলেন।
বাবরদের দেখে ওয়াসিম আকরামের মনে হচ্ছে, প্রতিদিন ৮ কেজি করে মাংস খান তারা। আদৌ তারা পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার জন্য ফিট কি না, সেই প্রশ্নও তুললেন।
বিজ্ঞাপন
টানা তিন হারে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে বাজে সময় পার করছে পাকিস্তান। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যেতে পারে তারা। এর মধ্যে আফগানদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের শোচনীয় হার মেনে নিতে পারছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের স্পোর্টস চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’-এর অনুষ্ঠান ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’-এ ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং আর ফিটনেস দেখে আমি চূড়ান্ত হতাশ। গত দুবছরের মধ্যে কোনো ফিটনেস পরীক্ষা দেয়নি এরা। এখন আমি যদি নাম ধরে বলি তাহলে আবার তারা তো অখুশি হবে। দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিদিন ৮ কেজি করে মাংস খায় তারা। ওদের কি ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া উচিত ছিল না?’
বাবরদের ভরাডুবিতে কাঠগড়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে ব্যর্থতার পাশাপাশি দলের হতশ্রী ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের দুর্বলতা পুরনো রোগ। বিশ্বকাপেও পাকিস্তানি ফিল্ডারদের দুহাত গলে অনেক বল বেরিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসিকতাও কম হচ্ছে না। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের আর উন্নতি হলো কোথায়?
উল্টো যেন দিনকে দিন অবনতিই হচ্ছে। বিশ্বকাপে নিজেদের তিন ম্যাচে একটি করে ক্যাচ ছেড়েছিলেন ইমাম উল হক ও ইফতিখার আহমেদরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলটির ফিল্ডাররা কাল ক্যাচ ফেলেন তিনটি। দুটি উসামা মির ও একটি অধিনায়ক অধিনায়ক বাবর আজম। সর্বশেষ আফগানদের বিপক্ষেও অন্তত তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন পাক ফিল্ডাররা। গুরবাজ, জাদরান, রহমত সবাই এক বার করে জীবন পেয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য ফিল্ডিং মিস তো রয়েছেই। সহজ বলও গলিয়েছেন হাসান আলি-শাহিন আফ্রিদিরা।
মিসবাহ উল হক কোচ থাকার সময়ে পাকিস্তান দলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে বেশ কড়াকড়ি করেছিল। যা নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ ছিল বলেও শোনা গেছে। মিসবাহ দায়িত্ব ছাড়ার পর ফিটনেস নিয়ে গুরুত্ব কমেছে ক্রিকেটারদের। জানা গেছে গত দুই বছরে ক্রিকেটারদের তেমন কোনো ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয়নি। খেলার জন্য দেশের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় কিছু মানদণ্ড থাকা উচিত বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
তিনি বলেন, ‘পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের হয়ে খেলার জন্য তোমরা অর্থ পাচ্ছ। তাই নির্দিষ্ট কিছু (ফিটনেস নিয়ে) মানদণ্ড থাকতেই হবে। মিসবাহ যখন কোচ ছিল, তখন এটা ছিল। খেলোয়াড়েরা তাকে পছন্দ করত না, কিন্তু কাজটা হয়েছে। ফিল্ডিং তো ফিটনেসের ওপর নির্ভর করে। আর আমরা এখানেই পিছিয়ে আছি। এখন আমরা সেই আগের জায়গাতেই ফিরে গেছি, যেখান থেকে যদি, কিন্তুর প্রার্থনা করতে হবে।
এফআই