পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে আফগানিস্তান। তারপরই মাঠের বাইরে পাক সরকারকে কড়া আক্রমণ শানালেন আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। কোনো রাখঢাক না করেই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জাদরান স্পষ্টত বলে দেন, আফগানিস্তানের যে শরণার্থীদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান, তাদের ম্যাচসেরার পুরস্কার উৎসর্গ করছেন।

গতকাল চেন্নাইতে পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রহমানুল্লাহ গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে ১৩০ রানের দারুণ উদ্বোধনী জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। ১১৩ বলে ১০ চারের মারে ব্যক্তিগত ৮৭ রানে ফিরলেও ততক্ষণে দলকে জয়ের কাছাকাছিই নিয়ে গেছেন। চেন্নাইতে আরেকটা আফগান রূপকথার অন্যতম নায়ক ইব্রাহিম জাদরান জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

ম্যাচশেষে জাদরান প্রথমে বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ভালো খেলতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়া জন্য। আমি চেয়েছিলাম ক্রিজে থেকে অনেকক্ষণ ব্যাট করতে। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে। দেশের জন্যেও আমি খুশি।’

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন , ম্যাচের সেরার পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করতে চান উদ্বাস্তুদের, যাদের পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। জাদরান বলেন, ‘আমি এই পুরস্কার সেইসব মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই, যাদের পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে অনেক আফগানদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি আফগান শরণার্থীকে পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। যা নিয়ে দেশ দুটির সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

আফগানিস্তান সম্পর্কিত আরও পড়ুন 

ম্যাচসেরা ইনিংস খেলার পথে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন জাদরান। আউট হন ব্যক্তিগত ৮৭ রানের মাথায়। জাদরান বলেন, “আমি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। আমি এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দু’জনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে আমরা একসঙ্গে খেলছি।’

এফআই