আগের চার বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল সেমিফাইনালের। যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমপক্ষে ৪ ম্যাচ জিততেই হবে টাইগারদের। তবে ৪ ম্যাচের জেতায় আটকে থাকতে হবে যদি-কিন্তুর সমীকরণে। আর ৫ বা তারচেয়ে বেশি ম্যাচের জয় নিশ্চিন্ত রাখবে তাদের। 

তবে বিশ্বকাপের বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশের খুব একটা অনুকূলে নেই। চার ম্যাচের তিনটিতে হার বাংলাদেশকে রেখেছে ব্যাকফুটে। তবু অন্যান্য দলের বাজে ফর্মের কল্যাণে সেরা চারের রেসে টিকে ছিল টাইগাররা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন সাকিব নিজেও, আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিতিনি। পয়েন্ট টেবিল দেখলে মনে হবে না আমরা খুব বেশি বাজে অবস্থায় আছি সত্যি কথা। অন্যান্য দল আমাদের সাহায্য করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের সাহায্য করা।

# দল ম্যাচ জয় হার ড্র পরিত্যক্ত নেট রানরেট পয়েন্ট
ভারত
১.৩৫৩
নিউজিল্যান্ড
১.৪৮১
দক্ষিণ আফ্রিকা
২.২১২
অস্ট্রেলিয়া
-০.১৯৩
পাকিস্তান
-০.৪০০
আফগানিস্তান
-০.৯৬৯
বাংলাদেশ
-০.৭৮৪
নেদারল্যান্ডস
-০.৭৯০
শ্রীলঙ্কা
৩  -১.০৪৮
১০
ইংল্যান্ড
-১.২৪৮

সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের জয় বাংলাদেশকে আরও বড় চাপের সামনে দাঁড় করিয়েছে। পরের ৪ ম্যাচ থেকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনেকটাই ফেবারিট আফগানিস্তান। সেই ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। আর বাংলাদেশকে সেক্ষেত্রে চারটি ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে। কারণ সমান ম্যাচ জিতলে রানরেটের বড় মারপ্যাঁচের সামনে থাকতে হবে টাইগারদের। বড় ব্যবধানের ৩ হার বাংলাদেশকে এরইমাঝে ব্যাকফুটে রেখেছে। 

এমনকি শ্রীলঙ্কা আর ইংল্যান্ডও আরও বেশকিছু ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা করেই মাঠে নামবে। সেখানকার ফলাফলও হয়ত যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়, তবে শেষ চারের স্বপ্ন তো ফিকে হবেই, পয়েন্ট টেবিলেও সুবিধা করতে পারবে না তারা।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ আছে টেবিলের সপ্তম স্থানে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান উঠে গিয়েছে বাংলাদেশের উপরে। টাইগারদের সমান পয়েন্ট আছে আরও তিন দলের। নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা। এদের মধ্যে দুই দলের সঙ্গে এখনও খেলা বাকি সাকিবদের। 

জেএ