সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পর সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পাত্তা পেল না বাবর আজমরা। হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমন ভরাডুবিতে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিটদের সেমিফাইনালে খেলা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাবরদের এমন হালে কাঠগড়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে ব্যর্থতার পাশাপাশি দলের হতশ্রী ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের দুর্বলতা পুরনো রোগ। বিশ্বকাপেও পাকিস্তানি ফিল্ডারদের দুহাত গলে অনেক বল বেরিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসিকতাও কম হচ্ছে না। 

কিন্তু ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের আর উন্নতি হলো কোথায়? উল্টো যেন দিনকে দিন অবনতিই হচ্ছে। বিশ্বকাপে নিজেদের তিন ম্যাচে একটি করে ক্যাচ ছেড়েছিলেন ইমাম উল হক ও ইফতিখার আহমেদরা।  অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলটির ফিল্ডাররা কাল ক্যাচ ফেলেন তিনটি। দুটি উসামা মির ও একটি অধিনায়ক অধিনায়ক বাবর আজম।

সর্বশেষ আফগানদের বিপক্ষেও অন্তত তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন পাক ফিল্ডাররা। গুরবাজ, জাদরান, রহমত সবাই এক বার করে জীবন পেয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য ফিল্ডিং মিস তো রয়েছেই। সহজ বলও গলিয়েছেন হাসান আলি-শাহিন আফ্রিদিরা।

বাবরদের ফিল্ডিং দেখে অসন্তুষ্ট কোচ মিকি আর্থারও। আফগানদের বিপক্ষে দলের হতশ্রী ফিল্ডিং দেখে ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে যান পাক কোচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। উসামা মীরের বলে বাউন্ডারি হওয়ার পরে দেখা যায় অসন্তুষ্ট পাক কোচ বিরক্ত হয়ে সাজঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

আরেক সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পাকিস্তানের ক্রিকেট দেখে তীব্র বিরক্ত। সেই ভক্ত লিখেছেন, আমার মনে হচ্ছে মিকি আর্থার পদত্যাগ করবে। অত্যন্ত হতাশাজনক ক্রিকেট পাকিস্তানের। টানা তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে পাকিস্তান যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। 

এফআই