আক্ষেপ ঘোচানোর ম্যাচেও হতাশাই সঙ্গী ভারতের
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত শেষ কবে আইসিসি ইভেন্টে ম্যাচ জিতেছিল। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০ বছর আগে। সবশেষ ২০০৩ বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ভারত। এরপর থেকে বেশ কয়েকবারই ভারতের হৃদয় ভেঙেছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আর ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটা হেরেছিল এই নিউজিল্যান্ডের কাছেই।
স্বাভাবিকভাবেই তাই রোববারের ম্যাচে জয়টা ভারতের জন্য বিশেষ কিছু। টানা চার ম্যাচে জয় পেয়েছিল দুই দলই। অপরাজিত তকমা ধরে রাখা মিশনে নেমেছিল দুই দল। তাতে সফল হয়েছে স্বাগতিক ভারত। আর নিউজিল্যান্ডকে পুড়তে হয়েছে আক্ষেপে। তবে এমন এক জয়ের দিনেও ভারতের আক্ষেপ যেন ফুরালো না।
বিজ্ঞাপন
আক্ষেপের কারণটা আর কেউ নন। এই ম্যাচে জয়ের নায়ক যে বিরাট কোহলি, তাকে নিয়েই মূলত হতাশা। জয় থেকে দল আর ৫ রান দূরে। সেঞ্চুরির ম্যাজিক ফিগারে যেতে কোহলিরও দরকার আর ৫ রান। এমন সমীকরণে ক্রমাগত স্লোয়ার ছেড়েছেন কিউই বোলাররা। তাতে ধৈর্য্য হারিয়ে আকাশে বল তুলেছেন কোহলি। ৯৫ রানে আউট হয়ে ফিরেছেন রাজ্যের হতাশা নিয়ে।
ম্যাচ জিতেও তাই ধর্মশালায় ছিল রাজ্যের নীরবতা। বিরাটও পুড়েছেন আক্ষেপে। এই সেঞ্চুরিটা হলেই যে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে যেতে পারতেন তিনি। শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ৪৯ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১টা দূরে ছিলেন কোহলি। আজ সেঞ্চুরি পেলেই শচীনের পাশে বসতে পারতেন। তবে সেঞ্চুরিটা হয়নি। কোহলির অপেক্ষাটাও তাই বাড়ল আরও কিছুদিনের জন্য।
জেএ