আফিফের ব্যাটে খুলনার জয়
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিনদিনেই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল খুলনা। যদিও দিনের শেষ বেলায় দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে পাল্টা চাপে পড়ে দলটি। দিনের শেষ ওভারে অমিত মজুমদার, মোহাম্মদ মিঠুন ও নাহিদুল ইসলামের উইকেট তুলে নেন হাসান মুরাদ। আর তাতেই ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম বিভাগ। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে খুলনাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বিজ্ঞাপন
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিন সকালেই ম্যাচ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় খুলনা। আগের দিন শেষ করা আফিফ ও জিয়াউর রহমান এদিন শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। তবে দলীয় ১১৯ রানেই খুলনার শিবিরে দিনের প্রথম আঘাতটা হানেন এনামুল হক আশিক।
এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ৮ রান করেই ফেরেন জিয়াউর। জয়ের জন্য তখনও খুলনার প্রয়োজন ১৪ রান। আগের দিনের মতো চতুর্থ দিনও বল হাতে জোড়া আঘাত হেনেছেন মুরাদ। তিনি আরিদুল ইসলাম আকাশ (৫) ও আব্দুল হালিমকে আউট করেন শূন্য রানেই। তখনও জয় থেকে ৪ রান দূরে খুলনা।
যদিও এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি আফিফ। তিনি শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে খুলনাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। শেষ ব্যাটার আল আমিন যদিও দুইবার স্ট্রাইকে গেলেও তাকে আউট করতে পারেননি চট্টগ্রামের বোলাররা।
মুরাদকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে চার মেরে দলের নিশ্চিত করেন আফিফ। চট্টগ্রামের হয়ে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিলেও ১ উইকেটের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুরাদকে।
প্রথম ইনিংসে অবশ্য শামিম পাটোয়ারীর হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাবে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৮৫ রান করে ৪৩ রানের লিড পায় খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে আল আমিন, সৌম্য সরকারদের বোলিং তোপে ১৭৫ রানে থামে চট্টগ্রাম। ফলে ১৩৩ রানের সহজ লক্ষ্য পায় খুলনা। কিন্তু সেই লক্ষ্য পেরুতেই ঘাম ঝড়াতে হয়েছে খুলনাকে।
এইচজেএস