দেশ ছাড়ার আগে বড় স্বপ্নের কথা বলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ-অধিনায়ক। সব বিতর্ক পাশ কাটিয়ে ভালো কিছু উপহার দেবেন, এমন কথাই শুনিয়েছেন বারবার। এরপর আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের পারফরম্যান্স দেখে সকলেই আশাবাদী হয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের তৃতীয় সপ্তাহে এসে বাংলাদেশ রীতিমত ছন্নছাড়া এক দল।

শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। অর্থাৎ সব দলেরই চারটি করে ম্যাচ শেষ। আর তাতে প্রাপ্ত হিসেব যা বলছে, তা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির। যদিও নিজ যোগ্যতায় নয়, প্রতিপক্ষের হারই যেন এই রাউন্ড শেষে এগিয়ে দিয়েছে টাইগারদের। তবে বাংলাদেশ সে সুবিধা কতটা কাজে লাগাতে পারবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। 

শ্রীলঙ্কা আগের তিন ম্যাচে জয় পায়নি। আজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অঘটন দেখানো ডাচরা হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এই হারেই বাংলাদেশ থেকে রানরেটে পিছিয়ে পড়ে ডাচরা। চলে যায় পয়েন্ট টেবিলের ৮ম স্থানে।

বাংলাদেশ ছিল ৭ম স্থানে। ইংল্যান্ডের অবস্থান ছিল ৬। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৭০ রানে। প্রোটিয়াদের কাছে ইংলিশরা হারে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। এমন বড় ব্যবধানে হার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অনেকটাই পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে দিয়েছে। তাদের রানরেট কমে হয়েছে -১.২৪৮। তাদের অবস্থান এখন টেবিলের নবম স্থানে। ইংলিশরা নিচে নেমে যাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিচের দিকে থাকা ৫ দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান। প্রত্যেকেই চার খেলায় পেয়েছে ২ পয়েন্ট। তবে এদের মধ্যে বাংলাদেশই অনেকটা এগিয়ে আছে। তবে সেটাও প্রতিপক্ষদের কল্যাণে। ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের হারের পর কিউইদের কাছে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। ভারতের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। তবুও নেট রান রেটে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ এখন আছে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে। প্রতিপক্ষদের এমন হারের সুযোগ বাংলাদেশ নিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
 
জেএ/এইচজেএস