গত কয়েক বছরে দেশের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বিশেষ করে মিরপুরের শেরে-ই-বাংলায় রীতিমতো উড়তে থাকে টাইগাররা। কেননা হোম অব ক্রিকেটের পিচকে স্লো আর টার্নিং ঘরানার বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়াই থাকে মূল লক্ষ্য। অবশ্য বরাবরই এক্ষেত্রে জয়গানের চেয়ে সমালোচনাই বেশি হয়েছে। কারণ মিরপুরের মতো বিদেশের মাটিতে অতটা সফল নয় টিম বাংলাদেশ। বিদেশের বাউন্সি ও স্পোর্টিং পিচে নামলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন মিরপুরের স্লো অ্যান্ড টার্নিং পিচে খেলতে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। এবারও বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে এসে হাতেনাতে ধরা খেল বাংলাদেশ। 

বিশ্বকাপে ভারতের অধিকাংশ পিচই ব্যাটিংবান্ধব। বৃহস্পতিবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচের ভেন্যু পুনের আরএস মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের পিচও ব্যাটিংবান্ধব। তবুও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ টাইগাররা। আর সে কারণে ২৫৭ রানের টার্গেটে উড়তে থাকা ভারতকে আটকানো যায়নি। ম্যাচ হারের পর সেই পিচকেই দায়ী করলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিদেশের মাটিতে সফল হতে গেলে স্পোর্টিং পিচে খেলে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন বলে করছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন এমনটাই। 

ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্ত বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত। ভালো উইকেটে অনুশীলন করা উচিত। এরকম স্পোর্টিং উইকেটে, যে অভ্যাসটা আমাদের তুলনামূলক কম। এখানে আসলে স্কিলের থেকে মানসিক দিকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দায়িত্বটা নেওয়া উচিত, কারণ এ ধরনের বোলারদের সামলানোর স্কিল সবারই আছে। তাই এই জায়গায় যদি আমরা একটু নজর দেই, তাহলে সামনে এই ভুল আর হবে না।’

পুনের এই ভেন্যুতে আগের সাতটি ওয়ানডের পাঁচটিতেই প্রথম ইনিংসের স্কোর ছিল ৩০০ রানের বেশি। তবে পরের ইনিংসে ব্যাটিং করে মাত্র দুবার তা তাড়া করা সম্ভব হয়েছে। এখানে বাতাসের কারণে পেসাররা বোলাররা বাড়তি সহায়তা পায়, বিশেষ করে সন্ধ্যায়। তাই পুনেতে ম্যাচ জয়ের বড় টোটকা হলো আগে ব্যাট করা। কেননা এই পিচে বড় স্কোর তাড়া করা একেবারেই সহজ কাজ নয়। 

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে আরও পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে টাইগারদের। সেসব ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে চান শান্ত। জানান, বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের জন্যই মাঠে নামবেন তারা।

এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘পরের ম্যাচ যখন খেলতে নামব তখনও জেতার জন্য নামব,  আমার মনে হয় এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।’

এসএইচ/কেএ