ঘরের মাঠে চলমান বিশ্বকাপে মাঠের পারফরম্যান্সে একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে দিয়ে শুরু, এরপর তারা আফগানিস্তান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও সর্বশেষ বাংলাদেশকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য রোহিত শর্মার দল পেরিয়েছে ৫১ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে। এমন ম্যাচে অবশ্য দলীয়ভাবেই খেলেছে ভারত। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান ব্যাটার বিরাট কোহলি।

৬টি চার ও চারটি ছক্কার বাউন্ডারিতে তিনি ৯৭ বলে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন। জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে। একপেশে ম্যাচে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন হয়ে এসেছে কোহলির সেঞ্চুরি। কারণ দলের রান এবং তার সেঞ্চুরি পেতে ১৯ রান যখন দরকার ছিল, এরপর আর তিনি সিঙ্গেল রান নেননি।

ম্যাচশেষে অবশ্য রবীন্দ্র জাদেজারই পুরস্কার প্রাপ্য বলে উল্লেখ করেন কোহলি। কারণ প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট ছাড়াও ক্যাচ নিয়েছেন দুটি, যার মধ্যে একটি ক্যাচ ছিল অসাধারণ দক্ষতায় লুফে নেওয়া। তাই তো ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় কোহলি বলেন, ‘সরি জাড্ডু (জাদেজা), তোমার ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি চেয়েছিলাম বড় রান করতে। এই বিশ্বকাপে অর্ধশত পেয়েছি। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ম্যাচটা শেষ করে আসতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলছিলাম। শুভমানকে বলেছিলাম শুরুটা ভাল হয়েছে। এমন শুরু হলে মনে হয় স্বপ্ন দেখছি।’

এর আগে ম্যাচের ৪১তম ওভারের প্রথম বলে চার, চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান কোহলি। সেঞ্চুরি পেতে এর মাঝেই তিনি দুটি সিঙ্গেল রান নাকচ করে দেন। শেষ বলে রান নিয়েও আবার ধরে রেখেছেন স্ট্রাইক। কোহলি সেঞ্চুরিটা চান, সেটি স্পষ্ট ছিল। অবশ্য তার এই প্রচেষ্টা শুরু হয় আরও আগে থেকেই। ৪০তম ওভারেও মিড-অনে দুবার দৌড়ে দুই রান করে নিয়েছেন। সিঙ্গেলের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও স্ট্রাইক ছাড়েননি কোহলি।

কোহলির এমন মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছিল— নেট রানরেটের কথা আপাতত তার মাথায় নেই। শেষ পর্যন্ত বিশাল ছক্কায় নিজের ও দলীয় লক্ষ্য পেরিয়েছেন তিনি। 

এএইচএস