ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে ভারত-বাংলাদেশ লড়াই বেশি রোমাঞ্চকর— এমনটাই মনে করেন টাইগার ক্রিকেটের এক সময়ের বড় পোস্টারবয় মোহাম্মদ আশরাফুল। ভারত-বাংলাদেশের সবশেষ অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোতে চোখ রাখলেও তারই প্রমাণ মিলবে! বিপরীতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই একপেশে, সর্বশেষ এশিয়া কাপ ও ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপের ম্যাচে তেমন চিত্র-ই দেখা গেছে। তাই তো আরেকটি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে দেশ দুটির ক্রিকেট মহলে। শেষ সময়ের প্রস্তুতি সারছেন ক্রিকেটাররা, যেখানে বোলিং প্র্যাক্টিস করতে দেখা যায় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে দেশ দুটি নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ম্যাচটিতে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তার আগে আজ (বুধবার) দ্বিতীয়বারের মতো স্ক্যান করাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মাংসপেশীতে চোট পাওয়া টাইগার কাপ্তানকে।

এর আগেরদিন অবশ্য সাকিবকে অনুশীলনে বেশ সাবলীল দেখা গেছে। কোনো অস্বস্তি ছাড়াই প্রায় পৌনে একঘণ্টার ব্যাটিং এবং রানিং অনুশীলন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজ বিকেলে ঐচ্ছিক অনুশীলন রয়েছে বাংলাদেশ দলের। স্ক্যানে কোনো বিপদ দেখা না গেলে সেই অনুশীলনে যোগ দিতে পারেন সাকিব।

গতকাল একই মাঠে ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছে ভারত। সেখানেই অধিনায়ক রোহিতকে কয়েক ওভার হাত ঘোরাতে দেখা গেছে। ব্যাটার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি বেশ কয়েকবার রোহিতের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন। সাধারণত ম্যাচে বল করেন না রোহিত। কিন্তু তার বোলিং অ্যাকশন কার্যত নিখুঁত বলেই দাবি সতীর্থদের। রোহিত বোলিংয়ের সময় পরামর্শ নিয়েছেন তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে রোহিত বল করবেন কিনা— এমন প্রশ্নে অশ্বিন বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে রোহিত বলেছিল সে বল করতে পারে। এখন ভারত ভালো খেলছে বলে ওর বল করার দরকার পড়েনি। কিন্তু একজন ব্যাটার থাকা ভালো, যে বলও করতে পারেন। এটাই রোহিত শর্মা। দক্ষতার কোনো শেষ নেই। হয়তো আমাদের দলে ভারসাম্য আনতে ওকে দরকার হতেও পারে। বাংলাদেশের প্রথম সাতে ৪-৫ জন বাঁ-হাতি ব্যাটার রয়েছে। তাদের সামনে ৩-৪ ওভার অফস্পিন করে দিলে মন্দ হবে না।’

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে ডানহাতি স্পিনারের অভাব প্রসঙ্গে রোহিত জানিয়েছিলেন, দরকার পড়লে তিনি এবং বিরাট কোহলি কয়েক ওভার হাত ঘুরিয়ে দিতে পারেন। অনেকেই সে কথা শুনে হেসেছিলেন। ওই সময় রোহিত যে ফাঁকা আওয়াজ দেননি, সেটা তার বোলিং অনুশীলনেই বোঝা গেছে বলে দাবি সমর্থকদের। এরপর অবশ্য দলে নেওয়া হয় অভিজ্ঞ স্পিনার অশ্বিনকে। যদিও তাকে কেবল একটি ম্যাচে খেলানো হয়েছে। 

অন্যদিকে, রোহিতের এমন বোলিং করার ধরন দেখে দেশটির ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলছেন, ‘মনে হচ্ছে ভারত অশ্বিনকে খেলাতে চায় না। যা একটি বড় সিদ্ধান্ত। কারণ অশ্বিনকে খেলাতে হলে, একজন সিম বোলারকে বাদ দিতে হবে। এদিকে রোহিতকে টিপস দিয়ে একাদশের বাইরে নিজেকে ছিটকে দিচ্ছেন অশ্বিন।’

এএইচএস