ছবি-সংগৃহীত

আফগানিস্তান-বাংলাদেশের ম্যাচের পর থেকেই চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচনার বিষয় ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড। এমন মাঠে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের খেলা কীভাবে হয়, এ নিয়েও কম কথা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) ধর্মশালার মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে সেখানে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। 

বিশ্বের বাকি বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। ভারত বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে এক যুগ পর এশিয়াতে ফিরেছে বিশ্বকাপ। কিন্তু আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালের মাঠ ধর্মশালার অবস্থা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আয়োজক দেশটি। এই মাঠে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হয় ৭ অক্টোবর। সেদিন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেই দেখা গিয়েছিল আউটফিল্ডে ফিল্ডিং করতে গেলে ঘাস উঠে আসছে। ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচের সময়ও বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জস বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক দলের ফিল্ডারদের চোট এড়িয়ে কৌশলে ফিল্ডিং করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। 

আফগান ক্রিকেটার মুজিব উর রহমানের কদাামাটির এই ছবিই যেন ধর্মশালা মাঠের পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে। 

সেই ধর্মশালায় তৃতীয় ম্যাচ আজ। যে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বৃষ্টির কারণে। সোমবার সেখানে বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারও আকাশ মেঘলা। ফলে আউটফিল্ড শুকানো যায়নি। সুপারসপার কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু ম্যাচের আগে মাঠ কতটা শুকনো থাকবে সেই চিন্তা রয়েছে। যদিও হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আশাবাদী ম্যাচ হওয়া নিয়ে। বোর্ড সচিব অবনীশ পার্মার বলেন, ‘আগামী ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি। সব রকম ব্যবস্থা করা আছে।’কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অবনীশ বলেন, আমরা স্বাভাবিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে কাজ করছিলাম। কিন্তু এই বছর বৃষ্টিটা অনেকদিন ধরে চলছে। সেটাই মাঠের ক্ষতি করে দিয়েছে।

ধর্মশালার মাঠে পাঁচটি বিশ্বকাপের খেলা আছে। এর মধ্যে দু’টি হয়ে গেছে। আজ তৃতীয় ম্যাচে। আগামী রোববার চতুর্থ ম্যাচে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ড। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচের দিকে চোখ থাকবে সবার। কিন্তু মাঠ তৈরি না হলে কী হবে? খেলা সরিয়ে দেওয়া হবে? অবনীশ বলেন, ‘ম্যাচ সরানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। খেলা এখানেই হবে। বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’

বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ডের অনেক জায়গা কাদা হয়ে গিয়েছে। অনুশীলন করার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটাররা সেটি নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেন, ‘মাঠের কিছু জায়গায় কাদা রয়েছে। যদিও আমাদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে খেলার উত্তেজনার মাঝে হঠাৎ করে মাঠে ডাইভ দেওয়ার সময় কী হবে বলা যায় না। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’

অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের কোচ রায়ান কুক আবার মজার ছলে বলেন, ‘আমরা যে ধরনের মাঠে খেলে অভ্যস্ত তার থেকে অনেক ভাল আউটফিল্ড এখানে।’

এফআই