প্রশ্নের মুখে অধিনায়ক সাকিব ও টিম ম্যানেজমেন্ট!
ট্যাকটিক্যালি বাংলাদেশের তো বটেই, বিশ্বেরও অন্যতম সেরা অধিনায়ক বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। তবে চলমান বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! ঘুরে-ফিরে ভক্ত-সমর্থকদের মুখে একই প্রশ্ন— বারংবার কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে টিম টাইগার্সের ব্যাটিং পজিশন। কোনো ব্যাটার একদিন ওপেনিংয়ে তো অন্যদিন নম্বর ফাইভে। কেবল সাকিবই নন, এমন পরিকল্পনার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকেও দুষছেন দেশের ক্রিকেট বোদ্ধারা।
তাদের মতে, বিশ্বকাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গা নয়। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের প্রভাবও পড়ছে ক্রিকেটারদের ওপর। তাওহীদ হৃদয়কে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে, ফলে তিনি ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের মতে, ওপেনিংয়ের লিটন দাসের সঙ্গী হওয়া উচিত নাজমুল শান্তর। তিনে সাকিব ও চারে তাওহীদ হৃদয়ের।
বিজ্ঞাপন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছেন এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কোচ-অধিনায়কের। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ খেলেছে তিন রকম টপ-অর্ডার নিয়ে। তাই প্রশ্নবিদ্ধ টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাও। এ নিয়ে শান্ত’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা কোচ ও ক্যাপ্টেন বলতে পারবে। আমরা যারা ব্যাটিং করি, সবাই জানি কে কখন ব্যাটিং করবে। এর পেছনে কারণটা কোচ ও ক্যাপ্টেনই বলতে পারবে।’
আরও পড়ুন
ভালো পারফরম্যান্সের জন্য একটা স্থিতিশীল ব্যাটিং লাইন-আপ জরুরী বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘যত বেশি ওপর-নিচ করা হবে, তত বেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হবে। এটা ইঙ্গিত করে যে, কারও ওপর হয়তো আস্থা নেই। আবার কারও ওপর আস্থার মাত্রাটা বেশি– এই বিষয়গুলোই ইঙ্গিত করে। আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা দল নিয়ে আসিনি, যার কারণে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো দেখছি।’
ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের উচিৎ সাকিবকে তিনে নিয়ে আসা। শান্তকে ওপেনিংয়ে আনা, লিটনের সঙ্গে। চারে হৃদয়, পাঁচে মুশফিক, ছয়ে রিয়াদ, সাতে হয়তো মিরাজ।’
চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার বিষয় বাজে ব্যাটিং। ওপেনিং থেকে শুরু করে টপ-অর্ডাররাও সেভাবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না। তবে তাদের নিয়মিত পজিশনকেই এজন্য বড় কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৬৪ রানের জবাবে সাকিবের দল মাত্র ২২৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে তারা ২৪৫ রান সংগ্রহ করে, যা ৮ উইকেট এবং ৪৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় কিউইরা।
এসএইচ/এএইচএস